avertisements 2

ইভ্যালির ওয়্যারহাউসের পণ্য কর্মচারীর শ্বশুরবাড়িতে স্থানান্তর

ইভ্যালির ওয়্যারহাউসের পণ্য কর্মচারীর শ্বশুরবাড়িতে স্থানান্তর

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর, বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৪ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

সাভারে ইভ্যালির ওয়্যারহাউস থেকে মূল্যবান প্রোডাক্ট (মোবাইল) এক কর্মচারীর শ্বশুর বাড়িতে স্থানান্তরের অভিযোগ উঠেছে। দুইদিন ধরেই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মোজাম্মেল হোসেনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন এ নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে দাবি তাদের।
অবশ্য মালামাল পুনরায় ওয়্যারহাউসে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ। এদিকে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বিপাকে পড়েছেন বলে জানান ইভ্যালির গ্রাহকরা।

ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর ১৬ সেপ্টেম্বর তার বড় ভাই গভীর রাতে সাভারের ওয়্যারহাউসে রাখা মালামাল সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন সংবাদে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা ইভ্যালির কর্মচারী মোজাম্মেল হোসেনের শ্বশুড়বাড়ি হেমায়েতপুরের পূর্বহাটি এলাকায় ভিড় করেন।

মোজাম্মেল হোসেনের স্বজনরা জানান, এ ঘটনায় বিড়ম্বনার শিকার হন তারা। পরে ওই মালামাল ইভ্যালির ওয়্যারহাউসেই ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়।

মোজাম্মেলের ভায়রা নীল চাঁদ বলেন, কাস্টমারদের কোনো সমস্যা হলে ওনার (ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী মো. রাসেল) ওয়্যারহাউসে যাবেন, আমার বাড়িতে কেন? ওনার কাস্টমাররা সবাই আমার বাড়িতে এসে প্রোডাক্ট খুঁজছেন।

মোজাম্মেলের শ্বাশুড়ি বলেন, লোকজন আমাদের বাড়িতে এসে ঝামেলা করছেন। কেউ এসে টাকা চান, কেউ প্রোডাক্ট চান। আমরা কোথা থেকে দেব?

এ বিষয়ে জানতে সাভারের বলিয়ারপুরে ইভ্যালির মালিক রাসেলের বড় ভাই মো. হাসানের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার সত্যতা জানতে কতৃর্পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ম্যানেজার একটি ভিডিও বার্তায় বিভিন্ন প্রোডাক্ট ওয়্যারহাউসেই আছে বলে জানান। যে মালামাল বাইরে পাঠানো হয়েছিল তা আবার ওয়্যারহাউসে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সময় সংবাদকে পাঠায় ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ।

ইভ্যালি ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত শনিবার আমরা কিছু মালামাল ওয়্যারহাউসে ইন করিয়েছি। এবং সব প্রোডাক্ট আমাদের ওয়্যারহাউসেই আছে।

এতো কিছুর পরও সাভারে ইভ্যালির গ্রাহকরা প্রতিদিনই ওয়্যারহাউসের সামনে ভিড় করছেন। যাদের অধিকাংশই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী। লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বিপাকে পড়েছেন বলে জানান তারা।

ইভ্যালির এমডি রাসেলের স্থায়ী নিবাস সাভারের বলিয়ারপুরে। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি শুরু করলেও পরবর্তীতে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেন।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2