avertisements 2

হিসাব চাওয়ায় ৬৩ হাজার টাকার খাজনা হয়ে গেল ১১৯০ টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

উপজেলার শাহপুর আনোয়ারুল হক দাখিল মাদ্রাসার জন্য শাহপুর গ্রামের আলী আকবর, আব্দুল কাদির, শহিদ উদ্দিন ও তাদের ওয়ারিশরা শাহপুর মৌজার ৩৭৭৩ দাগে ৩৫ ও ১৪ এবং ২৩৭৩ দাগে ২১ শতক পুকুর দান করার উদ্যোগ নেন। দলিল রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়ায় খাজনার রশিদ বাধ্যতামূলক থাকায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ লালপুর ভূমি অফিসে যায়। ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে তাদের জানানো হয় ১৪০২ থেকে ১৪২৮ বাংলা সন পর্যন্ত খাজনা বাবদ ৬৩ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকারের শরণাপন্ন হয়।

পারভেজ হোসেন সরকার এ টাকা পরিশোধে সম্মত হয়ে ভূমি অফিসের পেশকার মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে ৬০ হাজার টাকার কথা জানানো হয়। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় লালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা রতন কুমার দেব বর্মণের কাছে লিখিত হিসাব চান পারভেজ হোসেন সরকার। এ কর্মকর্তা হিসাব না দিয়ে গত ৩১ আগস্ট ৭০ শতক পুকুর খাতে ১১৯০ টাকার তিনটি রশিদ সরবরাহ করেন। শাহপুর আনোয়ারুল হক দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সদস্য মো. শাহজালাল বলেন, খাজনা পরিশোধে মাদ্রাসার ফান্ডে ৬৩ হাজার টাকা না থাকায় আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগিতা চাই। এতে আমি ১১৯০ টাকার রশিদ পেয়েছি যা চেয়ারম্যান সাহেব পরিশোধ করেছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার বলেন, বিষয়টি আমি নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে লালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা রতন কুমার দেব বর্মণ বলেন, ১৪০২ থেকে ১৪২৮ বাংলা সন পর্যন্ত বাণিজ্যিক হারে পুকুরের খাজনা বাবদ ৬৩ হাজার টাকা বকেয়া আসে। চেয়ারম্যান সাহেব অনুরোধ করাতে শ্রেণি পরিবর্তন করে কৃষি পুকুর হিসেবে ১১৯০ টাকা হয়।

তিন বছরের অধিক খাজনা বকেয়া থাকলে তামাদি আইনে রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা করে খাজনা আদায় করতে হয়। আইনি প্রক্রিয়ায় না গিয়ে এভাবে খাজনার রশিদ কাটা ঠিক হয়েছে কি না প্র্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2