মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে টোলপ্লাজা যেন মরণফাঁদ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ জুলাই,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৪৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মধ্যে অবস্থিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের বগাইল টোলপ্লাজাটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ টোলপ্লাজাটিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। কয়েক মাসের ব্যবধানে এ টোলপ্লাজায় দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েকশ ব্যক্তি। নবনির্মিত এ টোলপ্লাজায় বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা না থাকায় অন্ধকারের কারনে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। তাছাড়া টোলপ্লাজায় গাড়ী চলাচলের জন্য যে লেন করা হয়েছে তাতে নিদিষ্ট কোন রেখা না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে। টোলপ্লাজাটি চালু না হবার কারনেও রাতের বেলা পুরো স্থানটি অন্ধকারে থাকছে। ফলে দুর্ঘটনার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি, টোলপ্লাজার আইল্যান্ডে ধাক্কা খেয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে গিয়ে চারজন নিহত হয়। রোজার ঈদের আগের রাতে পৃথক ঘটনায় আইল্যান্ডের সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে দুই মোটর সাইকেল চালক ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এর কিছুদিন আগে একই ঘটনায় দুই বন্ধু কলেজ ছাত্র নাইমুর ও শাকিল নিহত হয়। এসময় নিহত আরেক জন ছিল অজ্ঞাত।
এবিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান দুর্ঘটনার কারন উল্লেখ্য করে বলেন, ওভার ব্রীজের নিকটে টোলপ্লাজাটি স্থাপন করায় দ্রুতগামী গাড়ী গুলো নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। যদি আরেকটু দুরত্বে সরিয়ে টোলপ্লাজাটি স্থাপন করা হতো তাহলে দুর্ঘটনা কম হতো।
বগাইল টোলপ্লাজা এলাকার স্থানীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক সফিউদ্দিন মোল্লা বলেন, দুর্ঘটনার বড় কারন হচ্ছে ওভার ব্রিজ থেকে ঢালে নামার সময় টোলপ্লাজা অতিনিকটে হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনা ড্রাইভাররা এবং টোলপ্লাজার লেন গুলো চাপা হওয়ায় দুর্ঘটনার আরেকটি কারন। তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে কমপক্ষে এক কিলোমিটার সরিয়ে টোলপ্লাজাটি করা হলে দুর্ঘটনা কমবে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, টোলপ্লাজার পুরো কাজ সম্পন্ন হয়নি। যখনই টোলপ্লাজার কার্যক্রম শুরু হবে তখন হয়ত আর দুর্ঘটনা থাকবে না। তিনি বলেন, ওভার ব্রিজে যে গতিতে গাড়ী চালানোর নির্দেশনা রয়েছে তা উপেক্ষা করে কিছু অদক্ষ্য ড্রাইভাররা গতি বাড়িয়ে চালানোর জন্য ব্যালেন্স হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে।
বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কালাম মাতুব্বর বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে শতশত তিন চাকার নছিমন, করিমন ও ইজিবাইক চলাচল করে। তারা কোন বাঁধাই মানেনা। তাদের কারনে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, টোলপ্লাজার ভেতর দিয়ে বড় গাড়ী গুলো ঢুকলে জায়গা থাকে না, যার লেনের ভিতর গাড়ী ঢুকলে থতমতো খেয়ে টোলপ্লাজার আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।