avertisements 2

গ্রামে গ্রামে উপসর্গ নিয়ে বসবাস

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৯ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৪০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যু। আইসিইউ খালি নেই, সংকট সাধারণ শয্যারও। অনেক রোগীকেই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে তোলা ছবি

দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তাই যেন সত্যি হতে চলেছে। সারাদেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি অন্তত সে বার্তাই দিচ্ছে। সীমান্তের জেলাগুলো ছাড়াও অন্য জেলায় রকেটগতিতে ছড়াচ্ছে অদৃশ্য এই শত্রু। সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঘরে বাড়ছে করোনার উপসর্গ জ্বর-সর্দি-কাশি। তবে তার বেশিরভাগই প্রকাশ পাচ্ছে না। অনেকে সামাজিক বয়কটের শিকার হওয়ার শঙ্কায় বিষয়টি চেপে যাচ্ছেন, আবার কেউ এড়িয়ে যাচ্ছেন 'মৌসুমি জ্বর-জারি' বলে। যা ভয়াবহ পরিণতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামে গ্রামে এখন যে অবস্থা, তাতে ব্যাপকভাবে নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত নির্ণয় করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে 'বিস্ম্ফোরণে'র মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। তখন তা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে তাই জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেছেন তারা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই নমুনা পরীক্ষার ওপর জোর দিতে সংশ্নিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে আসছি। বর্তমানে দৈনিক ২৪ থেকে ২৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। এটি যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে উচ্চ সংক্রমিত এলাকাগুলোতে কারও শরীরে জ্বর, কাশিসহ উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে নমুনা পরীক্ষা করা উচিত। সন্দেহভাজন ব্যক্তির করোনা পজিটিভ হলে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে তিনি অন্যদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকবেন এবং অন্যরা সংক্রমিত হবেন না। সুতরাং নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, উপসর্গ থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দ্রুত নমুনা পরীক্ষার আওতায় আনা প্রয়োজন। কারণ একজন করোনা পজিটিভ হওয়ার পরও তিনি সেটি না জানার কারণে পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশীসহ অন্যদের সংস্পর্শে যেতে পারেন। এতে করে ওই ব্যক্তির অজান্তেই রোগটি অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলে আইসোলেশন এবং চিকিৎসার আওতায় আসার সুযোগ থাকবে। এতে করে ঝুঁকি কমে আসবে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা এবং নেত্রকোনা জেলায় গ্রামে গ্রামে মানুষের জ্বর-সর্দি-কাশি বাড়ছে। এসব জেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর সঙ্গে বাড়ছে উপসর্গে আক্রান্তদের ভিড়। তবে বেশিরভাগ মানুষই করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। করোনা পরীক্ষার ব্যাপারেও আগ্রহ নেই তাদের। যাদের অবস্থা বেশি খারাপ হচ্ছে, তারা ছুটছেন হাসপাতাল, ক্লিনিকে। শেষ মুহূর্তে এসে তাদের অনেকেরই করোনা ধরা পড়ছে, মৃত্যুও হচ্ছে।

উপসর্গের রোগী বাড়তে থাকলেও করোনা পরীক্ষা কম হওয়ায় আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যাপারেও উদ্যোগ নেই সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এদিকে, মানুষজন ব্যক্তিগতভাবেও হাসপাতালে গিয়ে টেস্ট করাচ্ছেন না। গ্রামে গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে বসবাসের সেই চিত্র তুলে এনেছেন সমকালের প্রতিবেদকরা।

খুলনার কয়রা উপজেলার খড়িয়া গ্রামের ইছাহাক আলী (৫৫) পেশায় কাঠমিস্ত্রি। তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিন দিন ধরে বাড়িতে আছেন। ওষুধ খাচ্ছেন গ্রাম্য ডাক্তারের পরামর্শে। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা করাননি। তার দাবি, 'এটা সিজনাল জ্বর। এ সময় একটু জ্বর-জারি হয়েই থাকে। আবার সেরেও যায়।' ফুলতলার বরণপাড়া এলাকার দোকানি মাজাহারুল ইসলামের চার দিন ধরে জ্বর-কাশি। ফার্মেসি থেকে নাপা ও কাশির সিরাপ এনে খাচ্ছেন। নমুনা পরীক্ষা না করানো বিষয়ে বলেন, 'পরীক্ষা করালে যদি পজিটিভ আসে, তাহলে ঝামেলা বাড়বে, সে জন্য করাইনি।' শুধু তারাই নন, তাদের মতো খুলনা বিভাগের দশ জেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই আরও অনেকে জ্বর-কাশিতে ভুগছেন। কিন্তু 'ঝামেলা' এড়াতে তারা কেউই করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ২২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৯৮ জনের। শনাক্তের হার প্রায় ৪৫ শতাংশ। খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ সমকালকে বলেন, যাদের উপসর্গ আছে, তারা সবাই নমুনা পরীক্ষা করালে শনাক্ত আরও বাড়বে। পরীক্ষা না করানোর বিষয়টি খুবই উদ্বেগের।
সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় গ্রামের পরিস্থিতি আরও খারাপ। কলারোয়া উপজেলার তুলশীডাঙ্গা গ্রামের মোসলেমউদ্দীন, মকবুল হোসেন, আশরাফ হোসেন, নেদু মোড়ল ও আনিছুর রহমান করোনার উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে আছেন। টেস্ট কেন করেননি জানতে চাইলে তাদের উত্তর, আমরা করোনা টেস্ট করব না। গ্রাম্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছি। যদি করোনা হয়, তাহলে আমাদের বাড়ি লকডাউন করে দেবে, তখন অনেক সমস্যা হবে। তালা উপজেলার মানিকহার গ্রামের শামিম হোসেন, আবুল কালামও একই ধরনের কথা বলেন।

এ বিষয়ে কলারোয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমান বলেন, সচেতনতার অভাবে অধিকাংশ মানুষ করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরও টেস্ট করাচ্ছে না। তাদের বারবার বলেও কাজ হচ্ছে না।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা জানান, এ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত যারা করোনায় মারা গেছেন, তাদের অধিকাংশেরই বাড়ি গ্রামে। সচেতনতার অভাবে তারা আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমদিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসছেন, যে কারণে মৃত্যু বাড়ছে।
জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিম বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। স্বাস্থ্য বিভাগকে এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত বলেন, গ্রাম এলাকায় করোনা রোগীরা অবাধে চলাফেরা করছে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। জনবল সংকটের কারণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

যশোরের গ্রামগুলোতে করোনার উপসর্গে আক্রান্তরা একে 'সিজনাল অসুখ' বলেই মনে করছেন। জ্বর, সর্দি-কাশি, গা ব্যথা ও ডায়রিয়া দেখা দিলেও বেশিরভাগ লোক ডাক্তার দেখাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। সচেতন নাগরিকরা বলছেন, সীমান্তের জেলা ও উপজেলাগুলোতে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং এবং অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়াতে হবে। সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মুদি দোকানি তোফাজ্জেল হোসেন। জ্বর-গলা ব্যথা ও সর্দি-কাশি নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন তিন দিন ধরে। কিন্তু তারপরও করোনা পরীক্ষা করাননি। তার দাবি, করোনা শহরের রোগ, তাই গ্রামে ঢুকবে না!

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে জ্বর-সর্দি নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ।

সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, উপসর্গ দেখা দিলেই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীরা প্রচার চালাচ্ছেন।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন দপ্তরের তথ্যমতে, চলতি জুন মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৬১৩ জন। এর মধ্যে জেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ২১৮ জন। বাকি ৩৯৫ জনের অধিকাংশ জেলার বাকি পাঁচ উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা। চিকিৎসকদের ভাষ্য, প্রতিদিন জ্বর-ঠান্ডা-কাশি নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা করোনা পরীক্ষা করালে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।

শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন বলেন, শৈলকূপা স্বাস্থ্য কমপেল্গক্সে প্রতিদিন ৫০-৭০ জন রোগী আসছেন, যারা জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। হরিণাকু ু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জামিনুর রশিদ জানান, সেখানেও প্রায় একই অবস্থা।
ঝিনাইদহ করোনা সেলের প্রধান ডা. জাকির হোসেন বলেন, জ্বর-ঠান্ডা-কাশি নিয়ে আসা প্রতিটি রোগীকে যদি পরীক্ষা করা যেত, তবে জেলায় প্রতিদিন শত শত করোনা রোগী শনাক্ত হতো।

জেলার সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, প্রতিটি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেল্গক্সে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের করোনা পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চড়পাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন। কয়েকদিন আগে থেকে তার জ্বর-সর্দি, গলা ব্যথা। খাবারে স্বাদও চলে গেছে। সব উপসর্গ থাকলেও করোনা পরীক্ষা করাননি। ফোনে শহরের এক চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ওষুধ খাচ্ছেন। জেলার মিরপুর উপজেলার নওয়াপাগা গ্রামের সাইরা খাতুন উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর বাড়িতেই ছিলেন। অবস্থা জটিল হওয়ায় হাসপাতালে যান। শেষ মুহূর্তে এসে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্ত হন। গত ১৮ জুন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। কুমারখালীর কয়া ইউনিয়ন থেকে গত ১৫ দিনে প্রায় ২০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই করোনার উপসর্গ নিয়ে চলাফেরা করছিলেন। পরে তারা পরীক্ষা করেন।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বসির উদ্দিন বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে গ্রাম থেকে প্রচুর ফোন আসছে। তাদের বেশিরভাগই জ্বর-সর্দি, গলা ব্যথার কথা বলছেন।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাসহ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও আলুকদিয়া ইউনিয়ন লকডাউন থাকলেও সংক্রমণ বাড়ছে। এসব এলাকায় অনেকে আক্রান্ত হওয়ার পরও হাটে-বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। একই অবস্থা উপজেলার সীমান্তবর্তী অন্য গ্রামগুলোতেও। এ ছাড়া উপজেলার ফার্মেসিগুলোতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ঠান্ডা, সর্দি, কাশি ও জ্বরের ওষুধ।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ জানান, সোমবার পর্যন্ত উপজেলায় আক্রান্তের সংখা ৬৭৫ জন। এ পর্যন্ত উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান, আমরা এলাকাগুলো বিশেষ নজরদারিতে রাখছি। উপসর্গ দেখা দিলেই সেই এলাকা লকডাউন করে মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা চলছে।

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর ঘুরে দেখা গেছে, এ দুই উপজেলায় মানুষ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। তারা বাজার থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন মানুষ এখানে আসছেন জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার চিকিৎসা নিতে। জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান জানান, মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2