ব্যবসার পরিকল্পনাই কাল হলো ৫ বন্ধুর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৩৫ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
কোরবানির মৌসুমে গরু ব্যবসার পরিকল্পনাই কাল হলো পাঁচ বন্ধুর। চট্টগ্রাম থেকে প্রাইভেট কারযোগে গরু কিনতে যাওয়ার পথে যশোরে ট্রাকচাপায় নিহত হন চার বন্ধু। অপরজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রাকচালক, বরিশালের মুলাদীতে একজন, বরগুনার আমতলীতে শিশু, রংপুরের মিঠাপুকুরে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুজন, চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল আরোহী, মানিকগঞ্জের সিংগাইরে দুজন এবং ময়মনসিংহের ভালুকায় ফকলিফট চালক নিহত হয়েছেন। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
যশোর ও চট্টগ্রাম : তাদের কেউই পেশাদার গরু ব্যবসায়ী নন। তবে এ বছর কোরবানির মৌসুম সামনে রেখে পাঁচ বন্ধু বেনাপোল থেকে গরু কিনে চট্টগ্রামে এনে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু কে জানত, এই পরিকল্পনাই ইতি টানবে তাদের জীবনের। চট্টগ্রাম থেকে যশোরের বেনাপোল যাওয়ার পথে ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিয়েছে চারজনের প্রাণ। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের মালঞ্চী এলাকায় রোববার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের কুলগাঁও এলাকার ইকবাল চৌধুরীর ছেলে শিক্ষানবিশ আইনজীবী রাছাম চৌধুরী সাদমন (২৬), চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার ইয়াকুব বাদশার ছেলে আবু সৈয়দ (৩৫), পাঁচলাইশ ওয়াজেদিয়া এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে নাঈম উদ্দীন (৩২) ও চান্দগাঁও এলাকার আলী আজগরের ছেলে আলী নেওয়াজ জনি (৩৫)। আহতের নাম মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, তার বাড়িও কুলগাঁও এলাকায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঁচজনই ছিল ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাদের বাড়িও কাছাকাছি এলাকায়। সাদমানের বাবা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল চৌধুরী জানান, নাঈমের প্রাইভেট কারযোগে শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় পাঁচ বন্ধু রওনা হয়। তারা নিজেরাই গাড়ি চালাচ্ছিল। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ইকবাল চৌধুরী বলেন, সেই যে ছেলে গেল, আর ফিরল না। নাঈমের মামা মো. আইয়ুব জানান, নাঈম ও আবু সৈয়দ আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই। নয়ারহাট এলাকায় দুজনেরই শেয়ারে কাপড় ও টেইলারিং ব্যবসা রয়েছে। একই সঙ্গে পরিবারের দুই সদস্যকে হারিয়ে স্বজনরা পাগলপ্রায়। আমি যতদূর জানতে পেরেছি, পাঁচ বন্ধু ৩২ লাখ টাকা নিয়ে গরু কিনতে গিয়েছিল।