ইভ্যালি-ধামাকা থেকে সতর্ক থাকতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩১ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ইভ্যালি ও ধামাকাসহ ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য ক্রয় ও টাকা লগ্নির ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বুধবার (২৩ জুন) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ফেসবুক লাইভে ব্যারিস্টার সুমন এ আহ্বান জানান।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। আমি আজ ই-কমার্স নিয়ে কথা বলতে চাই। ইভ্যালি, ধামাকার মতো ই-কমার্স কোম্পানি আছে, তাদের বিষয়ে কথা বলব। আমরা অনলাইনে তাদের কাছ থেকে পণ্য কিনি, কম টাকায়। তারা কম টাকায় বেশি দামের পণ্য দিচ্ছে। আমি বলতে চাই, এদের নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা তদন্ত রিপোর্ট এসেছে।
যেখানে দেখা যাচ্ছে, ইভ্যালির মোট সম্পদের চেয়ে সাড়ে ৬ গুণ বেশি দেনা আছে মার্কেটে। মানে ইভ্যালির যে সম্পদ আছে তার থেকে ঋণ আছে সাড়ে ৬ গুণ বেশি। প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মতো ঋণ আছে তাদের। অথচ মাত্র ৬০-৬৪ কোটি টাকার মতো সম্পদ আছে কোম্পানিটির। আর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাত্র আড়াই কোটি টাকার মতো আছে।
পার্থকে জামিন দেওয়া বিচারককে দেখতে জজ কোর্টে ব্যারিস্টার সুমন
তিনি বলেন, ব্র্যাক ব্যাংক দেখলাম ইভ্যালি, ধামাকাসহ ১০টা কোম্পানির নাম বলে দিয়েছে। সেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক তাদের কোনো ক্রেডিট কার্ডই ব্যবহার করতে দেবে না। এর মানে ব্যাংকিং কোম্পানি যারা আছে তারা বুঝে গেছে, এসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বেশিদিন টিকে থাকবে না। ওইসব প্রতিষ্ঠানের মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যারাই এসব প্রতিষ্ঠানে টাকা ইনভেস্ট করবেন, তাদের বিপদে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।
সাংবাদিক রোজিনার পক্ষে সরব হলেন ব্যারিস্টার সুমন
সুমন বলেন, আমি বলছি না এখনই বিপদে পড়বেন। যারা ইভ্যালিসহ এইসব প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কিনছেন তাদের প্রতি আহ্বান জানাব, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক শঙ্কিত, ব্র্যাক ব্যাংকের মতো ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করে দিয়েছে। এখানে আপনারা কতটুকু ইনভেস্ট করবেন তা সতর্কভাবে করা উচিত। সরকারের উচিত এসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করা। আজকে যখন এদের ৪০০ কোটি টাকা ঋণ হয়ে গেছে, এখন যতই তদন্ত রিপোর্ট দেন, খুব বেশি লোককে বাঁচাতে পারবেন বলে মনে করি না। এখনই সবাই সতর্ক হোন।
পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই, আপনার টাকাটা অনেক কষ্টে অর্জিত। এই টাকা এভাবে নষ্ট করা ঠিক হবে না। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য ক্রয়ে আরেকটু সতর্ক হোন।