avertisements 2

ফুর্তির জন্য চুক্তিতে নারী সঙ্গী রাখতেন নাসির : পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৫৯ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজন নারী। পুলিশ জানিয়েছে, ফুর্তির জন্য মাসিক চুক্তিতে টাকা দিয়ে নারীদের রাখতেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

আজ সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে গ্রেফতারদের নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন গোয়েন্দা বিভাগের উত্তরা এবং সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।

তিনি বলেন, ‘জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনির মামলার পর দুপুরে উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। যেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটি অমির বাসা। পরীমনি রোববার রাতে সংবাদ সম্মেলন করার পর নাসির তার নারী সঙ্গীকে নিয়ে ওই বাসায় পালিয়ে ছিলেন। সেখানে অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়। তাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাও গ্রেফতার দেখানো হয়।’

ডিবি উত্তরের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘ওই বাসাটিতে অভিযান পরিচালনার সময় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, বিয়ার ও এক হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার নারীদের দেখানো জায়গা থেকে এসব মাদক উদ্ধার করা হয়।’

নাসির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে আগেও মাদক ও নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। নানা অভিযোগে তাকে উত্তরা ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জেনেছি। কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আমরা সেগুলোরও তদন্ত করব।’

পরীমনি ক্লাবের সদস্য না হয়ে সেখানে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘তিনি (পরীমনি) স্বনামধন্য নায়িকা। ওখানে (বোট ক্লাব) যেতেই পারেন। গেলে যে তাকে সেখানে হয়রানি করতে হবে, সেটা ঠিক নয়। আসলে কী ঘটেছে, তা বিস্তারিত তদন্ত করে বলতে পারব।’

পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘পরীমনি রাতে সংবাদ সম্মেলন করার পরপরই আমরা অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। যেহেতু তখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। তাই আমরা অ্যাকশনে যাইনি। সাভার থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করি।’

হত্যাচেষ্টা ও ধর্ষণচেষ্টার মামলায় নাসিরকে সাভার থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হবে। বর্তমানে মাদক উদ্ধারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানান হারুন-অর-রশীদ।

শনিবার রাতে পরীমনি থানায় অভিযোগ করতে গেলেও তা নেয়া হয়নি-এ প্রসঙ্গে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আমরা পরীমনির সঙ্গে কথা বলব। আমরা তার সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2