পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার বাড়িতে ৫ হাজার লোকের ভুরিভোজ, তোলপাড়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
২০১১ সালে পরিবার-পরিজন নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে এক কাপড়ে পালিয়ে এসে উখিয়া উপজেলার পূর্বডিগলিয়াপালং (চিতলী মোরা) নামক স্থানে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গা হাকিম আলী। কিছু দিন যেতে না যেতে জড়িয়ে ই’য়া’বা কারবারে। বর্তমানে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। যার প্রেক্ষিতে কথায় কথায় প্রশাসনের ক্ষ’মতা দেখিয়ে থাকেন তিনি।
ক’রো’না লকডাউনে মানুষ যেখানে ঘরবন্দী অবস্থায় জীবন-যাপন করছে, ঠিক সেই মুহূর্তে মঙ্গলবার ছেলের খতনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৫ হাজারের লোকের ভুরিভোজের আয়োজন করেন রোহিঙ্গা হাকিম আলী। প্রস্তুতি হিসেবে সোমবার দিবাগত রাত থেকে লক্ষাধিক টাকার আতসবাজিতে গ্রামের লোকজনের রাতের ঘুম-হা’রা’ম করে দেয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ভুরিভোজ। বিষয়টি প্রশাসন জানার পর থানা পুলিশ ওই বাড়ি গিয়ে নি’ষে’ধ করে চলে আসে। পুলিশ চলে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফের তাদের আয়োজন শুরু করে দেয়।
স্থানীয় ছৈয়দুল আলম অভিযোগ বলেন, সারা দেশে লকডাউনের পাশাপাশি উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডে ১৩ জুন পর্যন্ত রেড জোন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু একজন রোহিঙ্গা হয়ে এসব নির্দেশনা না মেনে এতো আয়োজন কিভাবে করেন? তার এতো ক্ষম’তার উৎস কোথায়? এমন পরিস্থিতিতে এই ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চলতে থাকায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় সাধারণ জনগণ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ দেশে আশ্রয়ের সুযোগে স্থানীয় এক গৃহবধূর সঙ্গে পর’কীয়ায় জড়িয়ে পড়ে হাকিম আলী। ওই নারীর স্বামী পাকিস্তান থাকার সুবাদে তাকে বিয়ে করে। অথচ মিয়ানমার থেকে চলে আসার সময় তার ১ স্ত্রী ও ৩টি সন্তান ছিল। পরবর্তীতে তাকে তাড়িয়ে দিলে ওই রোহিঙ্গা নারী স্থানীয় আরেকজন ছেলেকে বি’য়ে করে। কিন্তু তার কাছে হাকিম আলীর ৩টি সন্তান রয়েছে।
এর মধ্যে বড় ছেলে পুতিয়া কিছু আগে রেজু আমতলী বিজিবির হাতে দেড় লাখ ইয়া’বা আ’টক হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। এই ধরনের পূর্বডিগলিয়াপালং এক ডজন যুবক তার ই’য়াবা নিয়ে আ’ট’ক হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলে রয়েছে। এতো বড় ই’য়া’বা গডফাদারের পাশাপাশি একজন রোহিঙ্গা হওয়ার পরেও স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় রোহিঙ্গা হাকিম আলী দেদারছে ই’য়াবা কারবার করে যাচ্ছে।
গো’পন সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, হাকিম আলীর সঙ্গে মিয়ানমারের বড় বড় রাখাইন লোকজনের পরিচয় থাকায় তার এক মোবাইল ফোনে শত কোটি টাকার ই’য়া’বা বাকিতে দিয়ে দেয়। যা নিয়ে এসে বিক্রি করে পরে টাকা পরিশোধ করে থাকেন তিনি। এতে সীমান্তের ই’য়া’বা ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, লকডাউনে কোনো প্রকার জনসমাগম করার সুযোগ নেই, তাই আমি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে বলে দিয়েছি।
উখিয়া থানার ওসি আহাম্মদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ ওই বাড়ির লোকজনকে নি’ষেধ করে এসেছে।