পাটুরিয়া ঘাটের ৩৫ কিমি আগেই আটকে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৩৮ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। আর এ কারণেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পার হওয়ার জন্য ছুটে আসছেন।
কিন্তু করোনার কারণে এবার ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তারপরও বাড়ি যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় সামলাতে রোববার (৯ মে) শুধুমাত্র রাতে ফেরি চালু রাখার কথা বলা হয়। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি তেমন। কারণ রাতের ফেরিতেও মানুষের চাপে জরুরি প্রয়োজনের গাড়ির জায়গা হচ্ছিল না সেভাবে। এখন অবশ্য জরুরি গাড়িগুলো পার করতে এবং মানবিক কারণে সীমিত পরিসরে ফেরি চলছে। যদি ফেরি ছাড়ে, এ আশায় পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। এজন্য পাটুরিয়া ঘাটের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার (কিমি) আগেই চেক পোস্টে আটকে দেওয়া হচ্ছে ঈদযাত্রার গাড়ি ও যাত্রীদের।
সোমবার (১০ মে) সকাল সোয়া ৯টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলার প্রবেশ পথ বারবারিয়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে পুলিশের চেক পোস্ট বসিয়ে গণপরিবহন ও যাত্রীদের ঘুরিয়ে দিতে দেখা যায়। শতশত গাড়ি ও যাত্রী কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকে চেক পোস্ট ফাঁকি দিয়ে হেঁটেই চলে যাচ্ছেন পাটুরিয়া ঘাটের দিকে।
দেখা যায়, দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের নানা বয়সের মানুষ বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ছুটে আসছেন মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের দিকে। কিন্তু জেলার প্রবেশ পথে চেক পোস্টে আটকে যাচ্ছেন তারা। মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সারা দেশে বিধিনিষেধের আওতায় সরকার জরুরি প্রযোজন ছাড়া কেউ যাতে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় না যেতে পারেন, সেজন্য দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রেখেছে। শর্ত সাপেক্ষে শুধুমাত্র গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। গণপরিবহনে করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাত্রীরা পাটুরিয়া ঘাটে আসার চেষ্টা করছেন। চেক পোস্ট থেকে যাচাই করে শুধুমাত্র জরুরি সেবায় নিযোজিত গাড়িগুলোকে ঘাটে যেতে দেওয়া হচ্ছে। তবে চেক পোস্ট ফাঁকি দিয়ে যারা হেঁটে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করছেন, তাদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না থাকায় তাদের কোনো কিছু বলছে না প্রশাসন।
চেক পোস্টে দায়িত্বরত সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাংলানিউজকে বলেন, জেলার প্রবেশ মুখে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে, যাতে করে জরুরি সেবায় নিয়োজিত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন পাটুরিয়া ঘাটে যেতে না পারে। আর সেজন্য ঢাকা থেকে আসা গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার অনেক সময় কিছু গাড়ির বিরুদ্ধে মামলাও দেওয়া হচ্ছে।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা থেকে যেসব যানবাহন ভাড়া করে পাটুরিয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছে ওই সব যানবাহন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে হেঁটে যাওয়া যাত্রীদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না থাকায়, তাদের কিছু বলা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, জরুরি সেবায় নিয়োজিত গাড়ি ছাড়া সব ধরনের যানবাহন পারাপার বন্ধ রয়েছে। ঘাট এলাকায় পদ্মা পারের জন্য সকাল থেকেই বেশ কিছু যাত্রী অপেক্ষায় আছেন বলেও জানান তিনি।