সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ২০ ঘণ্টা পরও লাশ দেয়নি বিএসএফ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২১ মার্চ,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৫৪ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি হত্যার ২০ ঘণ্টা পরও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। শনিবার (২০ মার্চ) ভোরের দিকে উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী এলাকায় বাংলাদেশি পিলার ১৮২২ এর বিপরীত পাশে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার অভ্যন্তরে ওই যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত যুবক নাম আব্দুল মুমিন বাপ্পা মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটলী গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে।
ফুলতলা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইনতিয়াজ গফুর মারুফ বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার ভোরের দিকে ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী এলাকায় বাংলাদেশি পিলার ১৮২২ এর বিপরীত পাশে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার অভ্যন্তরে ওই যুবকের মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী বিজিবিকে খবর দেয়। সীমান্তে বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিজিবির-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সুবেদার দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন।
তিনি আরও বলেন, সকালে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনী এসে বাপ্পার লাশ নিয়ে যায়। আমি সহ এলাকাবাসী বিজিবিকে লাশ ফেরত আনার ব্যাপারে বললে বিজিবি- ৫২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক সুবেদার দেলোয়ার হোসেন বলেন লাশ ফেরত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাত ১১.৫৬ মিনিটে নিহত যুবক বাপ্পার বাবা আবদুল রউফ প্রতিবেদককে বলেন, বিকেল চারটায় বিজিবির-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সুবেদার দেলোয়ার হোসেনের কাছে আমার ছেলের লাশ ফেরত আনার দরখাস্ত নিয়ে গেলে উনি রাখেননি। উনি বলেছেন লাশ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।
সকালে মুঠোফোনে বিজিবির-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সুবেদার দেলোয়ার হোসেন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছিলেন, আমরা আমাদের নিয়ম মাফিক প্রক্রিয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।
কিন্তু রাত ১২.৫০ মিনিটে লাশ ফেরত আনার বিষয়ে জানার জন্য সুবেদার দেলোয়ার হোসেনকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জুড়ী থানার অফিসারস ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশী নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।