বাদল কারাগারে, থমথমে বসুরহাটে আতঙ্কে স্থানীয়রা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ১৩ মার্চ,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩৭ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে গত মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বাদলের ২৭ সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাদলের ছোট ভাই রহমতউল্লাহ চৌধুরী বিদ্যুতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘বাদল ভাই আজ আদালতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে থেকে ফিরে প্রেস ক্লাব এলাকায় এলে তাকে মাইক্রোবাসে করে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।’
মিজানুর রহমান বাদল এসপি কার্যালয়ে কোনো বৈঠকে আছেন বলে যোগ করেন তিনি। পরে, এসপি মো. আলমগীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংঘর্ষের মামলায় বাদলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির পরদিন ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত সোমবার নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খানকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। খিজির খানকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে পরদিন বসুরহাট পৌর এলাকার রূপালী চত্বরে সমাবেশ চলাকালে আবার সংঘর্ষ বাধে। এ সংঘর্ষে দলের এক কর্মী নিহত হন।