avertisements 2

হাজী নাছিরউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩১ পিএম, ১২ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১০:২১ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

দুর্নীতি মাধ্যমে যোগসাজশে  তিন লক্ষ টাকার গাছ  কথিত দরপত্রের নামে মাত্র  ষাট হাজার টাকায়  কেটে গোপনে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ আত্মসাতের মামলায় সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায় হাজী নাছিরউদ্দিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কলারোয়া, সাতক্ষীরা আদালত।

সোমবার (৮ই মার্চ) এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক ।এর আগে গত বছর  স্হানীয় বসিন্দা মোঃ জুলফিকার বিশ্বাস ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম বিরুদ্ধে  বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কলারোয়া, সাতক্ষীরার আদালতে মামলা করেন। 

পরবর্তীকালে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়কে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেন।  মামলাটি তদন্ত করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতক্ষীরা জেলা সহকারী পরিদর্শক সৈয়দ রবিউল ইসলাম পলাশ। তিনি তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিপত্র অমান্য করে দুর্নীতি মাধ্যমে যোগসাজশে কম মূল্যে গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের প্রমান পান এবং আদালতে এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

জানা গেছে, এর আগে অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক অধ্যক্ষের পদ দখল করার কারনে  দীর্ঘ প্রায় সাত বছর আব্দুল আলীমের এমপিও বন্ধ ছিলো। এছাড়া তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে ঠিকমত কলেজে আসেন না। ফলে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে । এক সময়ের নামকরা কলেজটি   অভিভাবকদের কাছে প্রতিনিয়ত আস্হা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে আশংকাজনক হারে কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা । তিনি গত সাত বছরে কলেজের আয়ের ৯০ (নব্বই) লক্ষ টাকার মধ্যে ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। টাকা আত্মসাৎ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের কাছে আদায়কৃত অর্থের কোন রশিদ প্রদান করে না। এছাড়া শিক্ষকদের মাসিক বেতনের বিল সীটে স্বাক্ষর করার সময় প্রভাষকদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা এবং প্রদর্শক ও অন্যান্যদের নিকট দুই  হাজার টাকা করে ২০১৫  সাল থেকে মাসোহার গ্রহন করছে। এর পাশাপাশি টিউশনফি বাবদ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা, এফডি আর সহ বিভিন্ন তহবিলের টাকা তসরূপ করেছেন। কলেজ ক্যাম্পাসের পুকুরের মাছ বিক্রি টাকা তহবিলে জমা দিয়ে প্রতিনিয়ত আত্মসাত করে যাচ্ছেন। অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী একাধিকবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। 

Previous Next

এদিকে এলাকাবাসী ও অভিভাভবকরা দূর্নীতিবাজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম বিরুদ্ধে নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় উল্লাস প্রকাশ করেন। দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন তারা। তারা বলছেন, আব্দুল আলীম বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আরও তদন্ত করলে কলেজের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত ও তার বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়টি প্রমাণিত হবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2