ফেঁসে যাচ্ছেন বিতর্কিত এক প্রকৌশলী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ৫ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩৮ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
গত শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিনা ইয়াসমিন। তবে প্রথমে তার /মৃ/ত্যু/ স্বাভাবিক মনে হলেও পরবর্তীতে তার ফেসবু/ক প্রফাইল চেক করতেই শুরু নানা সমালোচনার ঝড়। জানা যায়, /মৃ্ত্যু//র/ আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে যান তিনি। এ স্ট্যাটাসে ৩ জনকে দায়ী করে জান করে যান। আর এরই জের ধরে এবার ফেঁসে যাচ্ছেন সিলেটের ফে/ঞ্চুগঞ্জে বিতর্কিত এক প্রকৌশলী।
ওই নারীর সঙ্গে উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওয়াজিবুর রহমানের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। ভাইস-চেয়ারম্যানের /মৃ/ত্যু/র/ পর অভিযোগের তীর ওয়াজিবুরের বিরুদ্ধে।
অনাকাক্সিক্ষত এই মৃ/ত্যু/র জন্য তাকেই দায়ী করা হচ্ছে। এর আগে ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানার জাল কাগজ দিয়ে এক ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়াসহ ওয়াজিবুরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিনা ইয়াসমীনের /মৃ/ত্যু/র পর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে নানা কা/হিনী। সামাজিক যোগাযোগ/মা/ধ্যমে ভাইরাল হয় বিষয়টি।
মৃ/ত্যু/র/ আগে সেলিনা শা/রীরিক, /মা/ন/সি/কভাবে বি/প/র্য/স্ত/ হয়ে তার কো/নো কিছু হলে তিন/জনকে/ দায়ী উল্লেখ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যা/টাস দেন। জানা যায়, সেলিনা ইয়াসমীন গত ২০১৯ সালের মার্চে ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ওয়াজিবুরের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি অভিযুক্তও স্বীকার করেছেন।
ওয়াজিবুরে বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থবাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। উপজেলা প্র/কৌশলীর তত্ত্বা/বধানে দাফতরিক কাজ করার নিয়/ম ও সর/কারি নির্দেশনা থাকলেও তিনি তা /তো/য়া/ক্কা না করে/ নি/জের মতো করে করেন। নতুন রা/স্তা, কালভার্ট, স্কু/ল, কলেজ, মাদ্রাসার ভবন ও ঈদগাহ নির্মাণে সরকারি বা অবকাঠামো উন্নয়নসংক্রান্ত কাজে তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাছ নিজের চাহিদা মাফিক উৎকোচ নেন। কোনো ঠিকাদার টু/পাইস দিতে রাজি না হলে তাকে বিভিন্নভাবে হ/য়/রা/নি করা হয় বলে ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের অভিযোগ।
এছাড়া তিনি বেনামে দরপত্র সংগ্রহ করে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে থাকেন এমন অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার ছত্তিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন চারতলা ভবন নির্মাণে ঠিকাদারি এক প্রতিষ্ঠানকে ভুয়া একটি সনদপত্র দিয়ে এক কোটি তিন লাখ টাকার কাজ পাইয়ে দেন।
শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানিতে আবুল কালাম এন্টারপ্রাইজ কোটি টাকার প্রকল্পে কাজ করেছে বলে ওয়াজিবুর রহমান ভুয়া একটি সনদপত্র তৈরি করে তাদের কাজ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। ওয়াজিবুর স্থানীয় এমপির খাস লোক পরিচয় দিয়ে ৯ বছর ধরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত। তার বাড়ি পাবনা জেলায়।
অভিযোগের ব্যাপারে ওয়াজিবুর রহমান বলেন, আমি এমপি গ্রুপ করি, প্রতিপক্ষ আমার নামে কুৎসা রটাচ্ছে। আমি বদলির জন্য আবেদন করেছি, এমপি সাহেব যেতে দেননি। আমি কোনো কমিশন নেই না। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তার সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক ছিল, পারিবারিকভাবে যাতায়াত করতাম। অন্য কোনো সম্পর্কের প্রশ্নই ওঠে না।
মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিনা ইয়াসমীনের চাচাতো ভাই ফয়জুল ইসলাম মুহিত বলেন, আপুর সঙ্গে ওয়াজিবুরের খুবই ভাল সম্পর্ক ছিল। আপু অসুস্থ হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার পর থেকেই ওয়াজিবুরের নাম চাউর হয়ে গেছে। আমার একমাত্র ভাগিনি সেজুতির কাছে সব তথ্য আছে। সে মাকে হারিয়ে এখন পাগল প্রায়।
এ সময়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি আরও জানান, যেহেতু মাকে হারিয়ে এই মুহুর্তে সে স্বাভাবিক অবস্থায় নেই, সেহেতু স্বাভাবিক হলে তার কাছ থেকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে।