শ্যমা কাহন-৩
অজল জালাল
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ মে,
বুধবার,২০২৫ | আপডেট: ০৯:০৮ এএম, ১ জুন,রবিবার,২০২৫

মন্টু শেখ,এক নামে চিনে সবে
হেতম খাঁ দারোয়ানী বাড়ির ছেলে।
স্কুল অব্দি পড়াশুনা ওখানেই শেষ
পঞ্চাশের মন্বন্তরে দেশত্যাগী হয়।
সাগরদিঘি সালনায় আদি নিবাস
মায়ের কোলে চড়ে নৌকাভাসি
পদ্মাপার রাজশাহীতে মাথাগুঁজার ঠাঁই
প্রান্ত বদলে শেখের বেটার বাঙাল পরিচয়।
একাত্তরে মন্টু শেখ টগবগে যুবক
মা চেয়েছিল ছেলে পড়াশোনা করুক।
কলেজের ফাটকে পা পড়েনি তার
টুকটাক ফাই ফরমাস উটকো মাত্ববরি
আর উঠতি গৃহস্থ তনয়দের সাথে
জাতে উঠার উদগ্র বাসনা।
পারেনি, অবশেষে জ্যাক অব অল ট্রেড
যেন গোষ্টিতন্ত্রের তুরুপের তাস।
সময়ের টানে বড়ভাই দাদা মামা
অভ্যারন্যের কেশর বিহীন সিংহ।
সদ্য ভুমিষ্ট এই স্বাধীন দেশে মিইয়ে
গেল বটে! তবে স্বভাবজাত মঞ্চায়নে
দাঁড়িয়ে যেতে সময় লাগেনি তার,
ভাঙ্গা কুলোর মত সব পাতেই প্রযোজ্য
মন্টু শেখরা এভাবেই যুগের চাহিদায়
শ্যামা রত্না আরতিদের মামা হয় বটে।
সেদিনের ভরদুপুরে গোয়ালন্দ ঘাটে
নব যৌবনের ডাঙ্গর মেয়ে শ্যামা
আজ ইহজগতে আছে কি নেই-
জানা নেই, যুগের অতল চাহিদায়
ওরা দশে এক'শ হয়ে ঘাটের পাড়েই
কিলবিল করা উইপোকার ঢিপি।
আর মন্টুরা সব নুরু কালু নীলু হয়ে
শহর বন্দরে আজ ব্যস্ত মহাজন।