ছাত্র হয়রানি বন্ধ হোক দাবি নিয়ে একা লড়ছেন ঢাবির হাসনাত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩০ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৩২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের (রেজিস্ট্রার ভবন) ডিজিটালাইজেশনসহ আট দফায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ। কর্মসূচি শেষে তিনি ৮টি দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নিকট প্রদান করেন। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্য এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আল্টিমেটাম দেন তিনি।
৩০ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রশাসনিক ভবনের গেইটের সামনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে সনাতন পদ্ধতিতে ছাত্র হয়রানি বন্ধ হোক’, ‘লাঞ্চের পরে আসুন সুলভ আচরণ বন্ধ করুন, পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন’, ও ‘আমরা গোলাম নয়! আমরা ছাত্র আপনাদের ঝাড়ি শুনতে আসিনি, সেবা নিতে এসেছি’ ইত্যাদি প্লেকার্ড নিয়ে তিনি একাই অবস্থান করেন।
তার দাবিগুলো হলো-
শিক্ষার্থীদের হয়রানি নিরসনের জন্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন করা। যেখানে সেবাগ্রহীতারা সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদির ভিত্তিতে অভিযোগ জানাতে পারেন।
একই সঙ্গে প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটাইজড করা।
এ ছাড়া নিরাপত্তা ও হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে অফিস সমূহের অভ্যন্তরে প্রতিটি রুমে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা। প্রশাসনিক ভবনে অফিস সমূহের প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন, ডিসপ্লেতে অফিস সমূহের নাম, কক্ষ নম্বর ও সেখানে প্রদত্ত সেবার বিবরণী, কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নাম ও ছবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি প্রদর্শন করা।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা। প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনেরও সংস্কার করা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক-বিদ্যা, পেশাদারিত্ব, মানুষিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতমূলক করা। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মানসিক সেবা প্রদানকারী বিভাগ ও সেন্টারসমূহের শরণাপন্ন হওয়ার দাবি তার।
অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত থাকতে না পারা। সে নিরিখে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে অবস্থিত কর্মচারী ইউনিয়ন অফিস বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ক্লাবসমূহে স্থানান্তর নিশ্চিত করা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচারণা পরিবেশবান্ধব করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা পরিবেশ বজায় রাখতে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য হানিকর ও পরিবেশ বিপর্যয়কারী অপ্রয়োজনীয় পোস্টার লিফলেট ও ব্যানার ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করা।