কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে অফিস সহকারী, এসএসসি পরীক্ষার্থীর খাতা উধাও
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ০৫:৪৫ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
শেরপুরের শ্রীবরদীতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মাছুদা আক্তার। তিনি বানিবাইদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আয়শা আইন উদ্দিন মহিলা কলেজ কেন্দ্রের ১৫ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কক্ষ থেকে একজন পরীক্ষার্থীর খাতা হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও খাতা পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় চারজন কক্ষ পরিদর্শককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের নাম উল্লেখ করে কেন্দ্রসচিব সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রের ১৫ নং কক্ষে ৭৯ জন্য শিক্ষার্থী ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু পরীক্ষা শেষে দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শকরা সহকারী কেন্দ্রসচিবের কাছে ৭৯টি ওএমআর শিট জমা দিলেও খাতা জমা দেন ৭৮টি।
কেন্দ্রটিতে দায়িত্ব পালন করেন বানিবাইদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোছা. মারুফা আক্তার, সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, অফিস সহকারী মাছুদা আক্তার ও গোপালখিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক কারিমা খাতুন। পরীক্ষার্থীর খাতা হারোনোর বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষর্থীদের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তবে কোন পরীক্ষার্থীর খাতা হারিয়েছে তা জানা যায়নি।
ওই কেন্দ্রের সহকারী সচিব বানিবাইদ এএএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, যে শিক্ষকের ডিউটি ছিল, তিনি পিকনিকে গিয়েছিলেন। তাই শিক্ষক না থাকায় অফিস সহকারী মাছুদা আক্তারকে দিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করানো হয়েছে।
কেন্দ্রসচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, খাতা হারানোর বিষয়টি জানার পর আমরা ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত চারজনকে অব্যাহতি দিয়েছি। তাদের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
একজন অফিস সহকারী কীভাবে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। ওই কেন্দ্রের সহকরী কেন্দ্রসচিব আমাকে লিখিত দিয়েছিলেন যে, তিনি (অফিস সহকারী মাছুদা আক্তার) একজন সহকারী শিক্ষক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১৫ নং কক্ষে দায়িত্বরত চারজনকে এসএসসি পরীক্ষার পরবর্তী সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এছাড়া বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করায় একই দিন আরও পাঁচ শিক্ষককে ২ বছরের জন্য এসএসসি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।