avertisements 2

ফলের বীজ কি ক্ষতিকর?

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২৪ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

ফল হলো স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে একটি। পুষ্টিতে সমৃদ্ধ সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি পূরণ করে। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, আপনার প্লেটের অর্ধেক অংশ ফল এবং শাকসবজি দিয়ে ভরে ফেলা উচিত।

যদি এই দূষণে সুস্থ ও ফিট থাকতে শক্তির যোগান চান।  কচ কচ করে ফল তো খেয়ে ফেলছেন। কিন্তু ফলের সঙ্গে যদি বীজ খেয়ে ফেলেন? এটা কি উপকারী? 

ফল আসলে বীজের বাইরের আবরণ এবং বীজের প্রতিরক্ষামূলক স্তর হিসেবে কাজ করে। ফলের বীজ খেলে অসুবিধা নেই তবে কিছু কিছু ফলের বীজের ক্ষেত্রে হতে পারে অসুবিধা। কোন কোন ফলের বীজ খাওয়া ভালো না সেটা জেনে রাখা ভালো।  

প্রতিদিন আপেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু এর বীজও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক। কারণ আপেলের বীজে সায়ানাইড থাকে, যা পেটের স্বাস্থ্য খারাপ করে ফেলতে পারে। এ ছাড়াও আছে চেরির বীজ, কুল বড়ই এর বীজ ইত্যাদি। আবার কিছু কিছু ফলের বীজ ভালো। যেমন অ্যাভোকাডো, নাশপাতি, পেঁপে, তরমুজ এবং কাঁঠালের বীজ । এগুলো বীজ স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেমন, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, অন্ত্রের সমস্যা সহজ করে, প্রোটিন হজম করে, রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।  

ভারতের ব্যাঙ্গালোরের একজন পুষ্টিবিদ ডাঃ অঞ্জু সুদের মতে, ‘সব বীজ বিষাক্ত নয় তবে কিছু বীজ খুব তিতা হয়।  এর কারণে একধরনের গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইনাল সমস্যা তৈরি হয়। ’

ফলের বীজ কি ক্যান্সার সৃষ্টি করে? 

লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রায় সব ফলের বীজের বাইরে শক্ত আবরণ রয়েছে। প্রকৃতি সবকিছু মেনেই তৈরি করে। কিছু ফলের বীজ যেমন আপেল, এপ্রিকট, বরই, পীচ এবং আরো অনেক কিছুতে সায়ানাইডের মতো বিষাক্ত পদার্থ থাকে। তবে এটি ক্যান্সার এবং অন্যান্য গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে না যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করা হয়।  

তাই বেশি পরিমাণে খেলেই বিপদে পড়বেন। সুতরাং, আপনি যদি কোনো ফলের বীজ খেয়ে ফেলেন তাহলে চিন্তার পড়ে যাবেন না। কারণ যে পরিমাণে খেয়েছেন তা আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারবে না। তাই চিন্তা বাদ দিয়ে ফল খাওয়া শুরু করুন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2