avertisements 2

সুইস ব্যাংকে বেড়েছে কাদের টাকা, ধারণা দিলেন জুলকারনাইনো

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ জুন,রবিবার,২০২৫ | আপডেট: ০৯:৪৯ এএম, ২৩ জুন,সোমবার,২০২৫

Text

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সাল শেষে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের আমানত বেড়েছে ৩৩ শতাংশের বেশি। যা টাকার অঙ্কে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।


এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের এত টাকা আমানত বৃদ্ধির ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, এই বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক কারা?

শনিবার ( এ বিষয়ে একটি ধারণা দিয়েছেন বিশিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

জুলকারনাইন সায়ের তার পোস্টে বলেন, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমার পরিমাণ বেড়েছে বহুগুণে। একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ২০২৪ সালের শেষে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের নামে মোট ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ জমা রয়েছে। প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে হিসাব করলে এই টাকার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। অথচ ২০২৩ সালের শেষে এই অঙ্ক ছিল মাত্র ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ বা প্রায় ৩৯৬ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের কি মনে হচ্ছে এই টাকা ইউনূস সরকারের উপদেষ্টারা, বর্তমানে হালে বাতাস পাওয়া আমলা, পলিটিশিয়ান আর ছাত্র নেতারা বিদেশে পাচার করেছেন? তারা পাচার করেছেন কি করেন নাই, এই ধরনের বাহাসে আপাতত যাব না। কিন্তু ৫ আগস্টের পর যে পুরো আওয়ামী পার্লামেন্ট গায়েব হয়ে গেল, ১৫ বছরে তাদের অনেকেই যেসব সম্পদ কামিয়েছেন সেসব কোথায় গেল? সবাই নিশ্চয়ই বিদেশে ৫০০-৬০০টা করে বাড়ি কেনেননি, অনেকেই তো বিভিন্ন দেশের ব্যাংকে টাকা পয়সাও রেখেছেন, কারো কাছে নগদ অর্থও ছিল।’

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, যেমন ধরেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (সংযুক্তি-১) যদি তার সিংগাপুর আর দুবায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০/৩০ মিলিয়ন ডলার সুইস পোর্টফোলিওতে মুভ করেন তাহলে কি তার ডিপোজিটের পরিমাণ বাড়বে না কমবে? এটা জাস্ট একটা আইডিয়া দিলাম আর কি।

আপনি বলতে পারেন আমি কিভাবে জানলাম আনিসুল হকের বেশ কয়েকটা পোর্টফোলিও আছে? তাহলে (সংযুক্তি ২) এর কাগজটি লক্ষ্য করেন, সালমান এফ রহমান পুত্র শায়ান রহমানকে প্রায় ২.৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড বা ৪০ কোটি টাকা, বাৎসরিক ৪ শতাংশ রেটে লোন দিচ্ছেন সাবেক এই আইনমন্ত্রী। বিষয়টা বেশ মজার না? নিজেদের মধ্যেই আবার ধার দেওয়া-সুদ আদায় সবাই চলে!

জুলকারনাইন সায়ের বলেন, এখন চিন্তা করেন, বিদেশে পাড়ি জমানো এবং দেশের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ীরা পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে রাখা কালো/সাদা টাকা নিরাপদে রাখার জন‍্যে যদি নিজ সুইস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা নতুন সুইস ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখেন, তাহলে তো জমা অংক বৃদ্ধিই পাবে, তাই না? তাই বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দুধেধোয়া তুলসী পাতা, আর ছাত্র নেতারা সাক্ষাৎ ফেরেশতা — এমনটাও আমি দাবি করছি না।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2