avertisements 2

মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে কাঠগড়া ভাঙচুর করলেন হত্যা মামলার আসামিরা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৪৯ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী, বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:১৮ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের সুলতান আহমেদের বাড়িতে একই পরিবারের চার জনকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় ছয় জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় সাত আসামির মধ্যে একজন খালাস ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি পলাতক রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই আসামিরা কাঠগড়ায় ভাঙচুর চালান ও বিচারককে গালাগালি করেন। পরে পুলিশ তাদের কারাগারে নিয়ে যায়।

মামলায় সাত আসামির মধ্যে মমতাজ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মজনু, আমির হামজা, জাকির হোসেন, জালাল গাজি, হাসমত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে জালাল গাজি পলাতক রয়েছে। অপর আসামি নাইনুল ইসলামকে খালাস দেন আদালত।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলুসহ পাঁচ আইনজীবী।

২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামে সুলতান মিয়ার বাড়িতে একদল মুখোসধারী গভীর রাতে প্রবেশ করে সুলতান মন্ডল ও তার নাতনী রোমানা, আনিকা ও স্ত্রী হাজেরাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন নিহত সুলতানের ছেলে হাফিজুর রহমান ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি মমতাজ উদ্দিনের সঙ্গে ছোট ভাই নিহত সুলতান আহমেদের বিরোধ ছিল। মমতাজ উদ্দিন সুলতান আহমেদকে হত্যার জন্য বাকি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পাঁচ লাখ টাকা ও একবিঘা জমি দেওয়ার চুক্তিতে ভাড়া করে।

রায় ঘোষণার পর নিহতদের স্বজন রফিক আহমেদ বলেন এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই দ্রুত এ রায় কার্যকর করা হোক।

পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন চার্জশিট দাখিলের দ্রুততম সময়ে এ রায় ঘোষণা করা হলো। রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কাঠগড়া ভাঙচুরের ঘটনার মতো আচরণই প্রমাণ করে তারা কতটা দুর্ধর্ষ।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2