avertisements 2
Text

মোঃ শফিকুল আলম

তালেবানরা বলছেন তাদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বাস্তবে তারা আগের মতোই নৃসংশ!

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ জুন,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

পর্ব - ১

ওপরের শিরোনামে লেখাটি ‘ওয়ালস্ট্রীট জার্নাল’ এ লিখেছেন জনাব Sune Engel Rasmussen। নানান ঘটনার বিবরনে লেখাটি বেশ দীর্ঘ। লেখার ভেতরে যাওয়া যাক্।

কামাল উদ্দিন ২৫ বছরের যুবক সম্প্রতি কান্দাহার শহর ভ্রমনে এসে তার সুন্দর মুখাবয়ব দেখার জন্য ক্লিন-সেভেন হলো এবং তার মোচটাকে একটু আকর্ষনীয় করে ছাটার জন্য বারবার শপের কর্তব্যরত কর্মচারীকে অনুরোধ করলো। কিন্তু ভাবলো যে তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় (যেখানে কামাল উদ্দিনের বাস) ফিরে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই দাঁড়ি নিয়ে ফিরতে হবে।
কামাল উদ্দিনের নিজ জেলা আরগিস্তানে মাত্র গত মাসে তার বাবা এবং ভাই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে তালেবান সমর্থকদের কাছে ধরা খেয়েছেন। যদি কোনো স্মার্ট ফোনে মিউজিক বা ভিডিও বাজানো হয় তবে তালেবানরা এই জঘন্য অপরাধের শাস্তি স্বরূপ স্মার্ট ফোন বহনকারীদের ফোনের সিম গিলতে বাধ্য করেন।
কামাল উদ্দিন কল্পনা করতে লাগলো যদি সে ক্লিন-সেভেন তার জেলায় ফিরে যায় তবে তার জন্য কি ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে। কামাল উদ্দিন ভয়ে কাঁপতে থাকে। কামাল উদ্দিন এ-ও ভাবতে থাকে যে যদি কোনো দিন তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসে তবে আফগানিস্তানে কিরকম ভয়াবহ অন্ধকার নেমে আসবে!

গত ২০ বছর পূর্বে আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতাচ্যুত হয়। সেই সময় থেকে আফগানিস্তানে আমেরিকান সৈন্য অবস্থান করে আসছে। এবছরের শেষ দিকে আমেরিকান সৈন্য পুরোপুরিভাবে আফগানিস্তান থেকে তুলে নেয়া হচ্ছে। এই মর্মে ফেব্রুয়ারী ২০২০-তে আফগানিস্তান এবং আমেরিকার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আফগানিস্তান এখন স্বীয় অন্চলে এবং পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সেপারেটলি এবং ইন্ডিপেনডেন্টলি ডিল করতে চায়। আফগান সরকার যদিও ১৯৯০ দশক এবং তার পূর্বের মতো চুরির দায়ে নিষ্ঠুর আইন প্রয়োগে হাত-পা কেটে দিচ্ছেনা। আবার আন্চলিকভাবে কোথাও কোথাও এই নৃসংশ আইনের প্রয়োগ এখনও রয়েছে।

কিন্তু কামাল উদ্দিনসহ যারা এখনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তালেবান শাসনে রয়েছেন তারা টের পাচ্ছেন দশকের পর দশক এই তালেবানরা ধর্মের নামে কতোটা কুৎসিৎ এবং জঘন্য কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। মানুষ হয়ে কতোটা পশুর মতো নিবর্তক হয়ে মানুষের ওপর নিবর্তন অব্যাহত রাখতে পারে। তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এখনও মিউজিক নিষিদ্ধ, পুরুষদের দাঁড়ি রাখা বাধ্যতামূলক, নারীর শিক্ষা গ্রহনের অধিকার সীমিত, স্বামী বা রক্ত সম্পর্কের ভাই ছাড়া এবং বোরকা পরিধান ব্যতীত নারীর চলাচল এখনও নিষিদ্ধ। যদি তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কথিত নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে তবে চাবুকের প্রয়োগ, নির্মমভাবে মৃত্যুর আদেশ বাস্তবায়ন কার্যকর করে ছিন্ন ভিন্ন লাশ প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রেখে বাকীদের জন্য ওয়ার্নিং দেয়া হয় যে তালেবান আইন ভঙ্গকারীদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান প্রয়োগযোগ্য। এমনকি যাদের ওপর এই বিধান প্রয়োগ করা হয় তাদের রক্তাক্ত পরিচ্ছেদসমূহ দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

পর্ব - ২

তালেবানদের নৃসংশ এবং দ্রুত কার্যকর করার বিচার ব্যবস্থা কিছু মানুষ সমর্থনও করেন ফলে তালেবানরা এই নৃসংশ কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়। ফলে আফগানিস্তানে যুদ্ধ একটি চলোমান এবং স্বাভাবিক রূপ গ্রহন করেছে। বিস্তার লাভ করেছে অপরাধ এবং দুর্নীতি। তালেবানরা এখনও আফগানিস্তানের সর্বোত্র একটা ভীতির জন্ম দিয়ে রেখেছে।

তালেবানরা যখন ১৯৯৬ সালে কাবুল সিজ করেন তখন মূলত: দীর্ঘদিন ধরে একটি শ্যাডো গভর্ণমেন্ট চালিয়েছেন যারা পরামর্শ নিতেন কান্দাহারের অপেক্ষাকৃত গ্রামান্চলের ধর্মীয় মৌলভীদের কাছ থেকে। মৌলভীরাই ছিলেন আসল শাসক। আফগানিস্তানে এক সময়ের তালেবান শাসন বা এখনও যারা তালেবান অনুশাসনে চলেন তাদের নিয়ে ওভারসিজ ডেভলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (A global affairs think tank) এর বিস্তারিত গবেষনা রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের একজন গবেষক এ্যাশলে জ্যাকসন বলেন, “ তালেবান এবং তালেবান নিয়ন্ত্রিতদের শিক্ষা এবং জ্ঞানের স্তর বৈশ্বিক মানের অনেক নীচু স্তরে অবস্থান করে। তাদের সাংগঠনিক দক্ষতার স্তর নিম্নে অবস্থান করে বিধায় তারা অন্যের ওপর বল প্রয়োগের নীতি অনুসরন করেন। তাদের মধ্যে sophistication নেই বললেই চলে।” তবে এ্যাশলের গবেষনা বলে তালেবানদের অনেকেই আবার সহানুভূতিশীল এবং কান্ডজ্ঞানসম্পন্ন। তাইতো যেসমস্ত তালেবান নেতা গত বছর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার চুক্তি নিয়ে দোহা এবং কাতারে মার্কিন ডিপ্লোম্যাটদের সাথে আলোচনায় অংশগ্রহন করেছেন তাদের প্রায় সবাই আফগানিস্তানে অন্তর্ভূক্তিমূলক সরকার থাকার মতামত ব্যক্ত করেন। তারা এমনকি আফগানিস্তানের মাটি আর টেরোরিস্টদের ব্যবহারের সুযোগ দিতে চাননা। তারা বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনে ঐকমত হয়েছেন। তারা আন্চলিক এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে পারষ্পরিক সম্মান এবং সৌহার্দের ভিত্তি স্থাপন করতে চান। একই নীতির ভিত্তিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথেও সম্পর্কের ভিত্তি রচনা করতে চান। ঈদের পূর্বে তালেবানদের শীর্ষ নেতা মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আকুন্দজাদা এক শুভেচ্ছা বার্তায় একই ধরনের মতামত প্রকাশ করেছেন।

পর্ব - ৩

ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের ওপর তালেবানদের প্রভাব কতোটা থাকবে তা’ নির্ভর করছে আফগান সরকারের সাথে চলোমান শান্তি আলোচনার ফলাফলের ওপর। শান্তি আলোচনা সফল না হলে হয়তো তারা সন্ত্রাসের পথেই থাকবেন এবং গৃহযুদ্ধ চলবে।

যখন মার্কিন সৈন্য পুরোপুরি চলে যাবে তখন আফগানিস্তানে যে নিরাপত্তার শূন্যতা তৈরী হবে তালেবানরা সে সুযোগ গ্রহন করতে পারে। তবে এমতাবস্থায় শান্তিচুক্তির মাধ্যমেও তারা রাজনৈতিক প্রভাব তৈরী করতে পারে। ৪০ মিলিয়ন জনগনের আফগানিস্তানে বিশ্বের অন্যান্য মৌলবাদী মুসলিম দেশসমূহের মতো যারা এখন অনেকটা উদার মুসলিম দেশে রূপান্তরিত হয়েছে সেরকমটিও হতে পারে।

সাদী হামিদ পলিটিকাল ইসলামের ওপর বিশেষজ্ঞ যিনি ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটে কাজ করেন তাঁর সতর্ক মন্তব্য হচ্ছে মেইনস্ট্রীম মুসলিম গনতান্ত্রিক আন্দোলনকারীরা মুসলিম রাষ্ট্রসমূহে এখনও কোনো সফল উদাহরন তৈরী করতে পারেননি। মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড এক বছর ক্ষমতায় থাকার পর আবার মৌলবাদী মিলিটারী গোস্ঠী ক্ষমতা দখলে নেয়। বরং বিপরীতে জনগন মৌলবাদীগোস্ঠীর ভায়োলেন্স দেখেছে এবং দেখছে এবং তাদের মধ্যে সর্বদাই ভীতি কাজ করে।

প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাত হয় ২৮ বছর বয়স্ক তালেবান যোদ্ধা হামিদের সাথে। হামিদের চাচা মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হলে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তালেবানদের সাথে যোগ দেন। হামিদ ৩ ঘন্টার ড্রাইভ করে গত ৯ বছরের মধ্যে এই প্রথম রাজধানি কাবুল শহরে প্রবেশ করেছেন। হামিদ স্যান্ডেল পরিহিত। মাথায় পাগরী এবং আফগানিস্তানের জাতীয় পোষাক পরিধানে রয়েছেন। কোকরানো চুল এবং ঘন এবং লম্বা দাঁড়ি পরিহিত টগবগে যুবক। চেতনায় তার ইসলামি বিপ্লব। পক্ষান্তরে কাবুলের দৃশ্য তাকে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ এবং মর্মাহত করেছে। রাজধানি শহরেরের মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মহিলারা এখন কেউ বোরকা এবং নিকাব পরিধানে নেই। তারা শুধুমাত্র হিজাব পরিধানে রয়েছেন। হামিদ বলেন এরা আল্লাহকে চিনতে পারেনি। এরা সব কাফির হয়ে গেছে। একটি রেঁস্তোরার আউটডোর সিটিং এ বসে প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময় হামিদ বলছিলেন রেঁস্তোরায় যে মিউজিক বাজানো হচ্ছে তা’ ইসলামে হারাম।

হামিদ আরও বলেন তালেবানরা ১৯৯০ এ আফগানিস্তানে প্রবর্তিত ইসলামী আইনের কঠোর বিধিবিধান বাস্তবায়ন করতে চেয়ে কোনো ভুল করেনি। যদিও লোকেরা বলেন তালেবানরা মহিলাদের ওপর জুলুম করেছিলো; কিন্তু সে সময়ে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্যই তাদের স্কুলে যেতে দেয়া হয়নি। হামিদ তালেবানদের ভালো শাসনের উল্লেখ করতে গিয়ে বললেন তিনি ওয়ারদাক প্রদেশের সায়েদাবাদ মসজিদের ভেতর থেকে দেখেছেন কিভাবে ইসলামী আইনের কঠোর প্রয়োগ করে একজন বয়স্ক পুরুষ মানুষ যাকে জেনা করার অপরাধে শক্ত কাঠের টুকরা দিয়ে প্রকাশ্যে তার মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তালেবান বন্ধুরা প্রহার করেছিলেন। তালেবানদের এই কঠোর আইন প্রয়োগের কথা বলতে পেরে হামিদ বেশ প্রশস্তি বোধ করছিলেন। পক্ষান্তরে বর্তমান শাসকগোস্ঠীর অপেক্ষাকৃত লিবারেল শাসনে দেশটি তার ইসলামিক ঐতিহ্য হারানোতে অত্যন্ত ব্যথিত বোধ করছেন।

হামিদের ভাষায় তাদের চেতনার মুল শক্তি হচ্ছে ১৯৯০ এ প্রবর্তিত কঠোর ইসলামিক বিধিবিধান। হামিদ তাদের তালেবান বন্ধুদের মেধা শক্তি নিয়েও বেশ উচ্চ ধারনা পোষন করেন। যদি তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাসমূহে কোনো নাগরিক এমনকি গোপনেও ইসলামিক বিধি অনুসরন না করেন তা’ তারা  বুঝতে পারেন এবং তাদের জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করে।

শেষ পর্ব

হেলমান্দ প্রদেশের সানজিন শহর কান্দাহার থেকে পশ্চিমে অবস্থিত; তালেবানদের এ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেন্টার। সেখানটায় দেশের অন্যান্য শহর থেকে তালেবান সমর্থকরা এসে আশ্রয় গ্রহন করায় জনসংখ্যার ভারে উপচে পড়ছে। এমনকি ফেব্রুয়ারী ২০২০ তে যেখানে মাঝারি ধরনের একটি বাসা ভাড়া নেয়া যেতো হয়তো ১০ ডলারে; এখন একই বাসার ভাড়া ১০০ ডলার।
আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহৃত হচ্ছে। তালিবানদের সাথে সরকারের আলোচনা হচ্ছে। ফলে সেখানটায় একটি আবহ তৈরী হয়েছে কিছুদিন পূর্বেও যে বাজারগুলো শূন্য ছিলো সেসব বাজারে দোকানপাট গভীর রাত অবধি খোলা থাকে। দশকের পর দশক জমির বিরোধও মিটমাট হচ্ছে। কান্দাহার থেকে দক্ষিনে তালেবান নিয়ন্ত্রিত লোগার প্রদেশের চার্খ ডিস্ট্রিক্ট এর একজন ডাক্তার বলেন, “দোকানপাট খোলা রাখলেও চুরির ভয় নেই।”
একই ডাক্তার আব্দুলের ভাষ্যমতে মাত্র এক বছর পূর্বে একই বাজার এলাকায় তালেবানরা শুক্রবারে জুম্মা শেষে প্রায় দুই হাজার লোকের সামনে একজনকে মটর সাইকেল চুরির অপরাধে টেনে হিঁচড়ে দোড়ড়া মারতে মারতে ইমাম সাহেবের আদালতে উপস্থিত করেছিলেন বিচারের জন্য। এবং ইমাম সাহেব সেই চোরকে শেষ নি:শেষ ত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রহার করতে প্রত্যক্ষ করছিলেন। এবং ইমাম বা ধর্মীয় নেতার প্রতিটি চাবুক মারার সাথে দ্বিতীয় একজন তালেবান যোদ্ধা ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি উচ্চারন করছিলেন। ডা: আব্দুল বলেন দু’ঘন্টা যাবত এই তান্ডব চলে।
তালেবান নেতৃত্ব এতোদোন্চলে নিকট ভবিষ্যতে কিভাবে শাসিত হবে তার বিস্তারিত না বললেও ইসলামী হুকুমতে শাসিত হবে বলে বলেছেন। সাধারনে ভীতি কাজ করছে যে তালেবানদের কাছে পূণরায় তাদের মানবাধিকার লংঘিত হবে কি-না।

আফগানিস্তানের ভবিষ্যত শাসন কেমন হবে?

২০০২ সালে আফগানিস্তানের খসড়া সংবিধান প্রনয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ফাতিমা বলেন, “সাধারন আফগানদের সমর্থন পেতে তালেবানদেরকে আগের তুলনায় আধুনিক চিন্তায় এগিয়ে আসতে দেখা যাবে। তালেবানরা হয়তো তাদের মূল বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হবেননা; কিন্তু তারা এটাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে আফগানবাসীকে তাদের মতো করে আর পুরনো বিশ্বাসে ফিরিয়ে নেয়া হয়তো যাবেনা। তালেবানরা এই বাস্তবতাও বুঝেছেন যে আফগানিস্তান এখন একটি পরিবর্তিত দেশ।”

তালেবান সরকারের পক্ষে পিস এনভয় এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ বলেন, “তালেবানদের সম্পর্কে পশ্চিমা দেশসমূহের বিভ্রম সৃষ্টি হওয়া উচিত নয়। পশ্চিমাদের এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর কোনো কারন নেই যে তালেবানদের পরিবর্তন হবে। বরং আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ’র মতে আফগানরা পূনরায় ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।”
এবছরের মে মাসে হেলমান্দের মুসাকালাতে তালিবানরা দু’জন মহিলাকে কিডনাপ করে এবং শৃংখলিত রেখে ভিডিও ছেড়ে দিয়ে গান পয়েন্টে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে এসে টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে বলার দৃশ্য সবাই দেখেছে। কয়েক দিন পরে তালেবানরা ঐ শহরের একটি উঁচু টাওয়ার থেকে তাদের ভাষ্যমতে কালপ্রিট এবং সেই কালপ্রিটদের কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে গুলি করে ঝুলিয়ে রাখে এবং কালো কাপড় বেয়ে লাল রক্ত ঝড়ছিলো যা’ শহরের শতো শতো মানুষ প্রত্যক্ষ করছিলেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে তালেবানরা জানতে পারেন কাবুল টু কান্দাহার বাস যোগাযোগের পথে ওয়ারদাক প্রদেশের(তালেবান নিয়ন্ত্রিত) কাছে একদল ডাকাত ডাকাতি করে। সন্দেহভাজন একজন ডাকাতকে হত্যা করে তালেবানরা তার লাশ ল্যাম্প পোস্টে ঝুলিয়ে রাখে।

যদিও আফগানিস্তানে এখন চুরির দায়ে হাত-পা কাটার বিধান বর্তমান সরকার তেমন কোথাও কার্যকর করছেনা; কিন্তু তালেবানরা এই বিধান পূনরায় কার্যকর করার ভাবনায় রয়েছেন। জবিউল্লাহ মুজাহিদ মুভমেন্টের নেতা বলেন যে চুরির দায়ে হাত-পা কেটে দেয়ার বিধান আবার চালু করলে আফগান সমাজ স্থিতিশীল হবে।

তালেবান নিয়ন্ত্রিত কান্দাহারের অংশে স্পারওয়ান শহরের একজন দোকানদার নিসার আহাম্মেদ বলেন যে এই এলাকায় মেয়েদের মিনিস্ট্রেশন হওয়ার পর স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ। সে কারনে নিসার তার দোকান বন্ধ করে সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চলে যাবেন শুধুমাত্র তার মেয়েকে শিক্ষা দেয়ার জন্য।

মূলত: তালেবানরা যদি আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরেন তবে আফগানবাসী স্বয়ংক্রিয়ভাবেই জানে কোন্ ধরনের অনুশাসন তাদের অনুসরন করতে হবে। এবং সেই শাসনে জনগনের আচরন কি হবে তা’ও তাদের জানা।
 

বিষয়: তালেবান
avertisements 2
কিশোর গ্যাং আর ‘কিশোর’ নেই
কিশোর গ্যাং আর ‘কিশোর’ নেই
গ্যাস সংকটে উৎপাদন নেমে অর্ধেকে, কয়েক শ কারখানা বন্ধ
গ্যাস সংকটে উৎপাদন নেমে অর্ধেকে, কয়েক শ কারখানা বন্ধ
পপ তারকা থেকে নীলছবির নায়িকা, আয় কোটি টাকা
পপ তারকা থেকে নীলছবির নায়িকা, আয় কোটি টাকা
৯/১১-র ধাঁচে রাশিয়ায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
৯/১১-র ধাঁচে রাশিয়ায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
দুই চীনা তরুণীর স্বপ্নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটারিচালিত রিকশা
দুই চীনা তরুণীর স্বপ্নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটারিচালিত রিকশা
‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ডিটেনশন সেন্টার খুলবে ভারত
‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ডিটেনশন সেন্টার খুলবে ভারত
একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘জোর করে’ হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য ভাইরাল!
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘জোর করে’ হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য ভাইরাল!
চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের দোকান বন্ধের হুমকি ছাত্রদল-যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের, সিসি ক্যামেরায় পড়ল ধরা
চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের দোকান বন্ধের হুমকি ছাত্রদল-যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের, সিসি ক্যামেরায় পড়ল ধরা
ফেক আইডি, তছনছ জীবন
ফেক আইডি, তছনছ জীবন
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
বাংলাদেশ-ভারত : এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈরী 
বাংলাদেশ-ভারত : এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈরী 
ইসরায়েল হামলায় সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনির  মৃত্যু
ইসরায়েল হামলায় সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর  আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
avertisements 2
avertisements 2