
রাশেদুল ইসলাম
বইপড়া প্রতিযোগিতা কেন ?
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৪৮ এএম, ১০ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২৫

২০১৬ সাল থেকে আমি লেখালেখি করি । অতীত ইতিহাস বা সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে লিখি । লেখায় কোন সমস্যার দিক আলোচনার পাশাপাশি, নৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যৌক্তিক বিচারে আমাদের করণীয় বিষয়ও উল্লেখ করার চেষ্টা থাকে । এসব লেখা নিয়েই আমার ৭ টি বই এখন বাজারে পাওয়া যায় । লেখালেখি করি ঠিক আছে; কিন্তু আমাকে যে কখনো বইপড়া প্রতিযোগিতায় নামতে হবে, তা গত এক বছর আগেও আমার মাথায় আসেনি । বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত তাণ্ডবলীলা আমার এক ধরণের দিব্যদৃষ্টি খুলে দিয়েছে । ভবিষ্যতে এ রকম আর কয়েকটি ঘটনা ঘটলে দেশের যত অর্জন, দেশের সাধারণ মানুষের যে স্বপ্ন বা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন - যে ভাবেই বলিনা কেন, তা ধুলিসাৎ হতে মোটেও সময় লাগবে না । কিন্তু সমস্যার গভীরতা এত বেশী যে, জোর করে, বা বলপ্রয়োগ করে সাময়িক সমাধান মিললেও, পরিপূর্ণ জনসচেতনতা সৃষ্টি করা ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় । আমার ‘এগিয়ে যাওয়ার জন্য বই পড়ি’ প্রতিযোগিতা মূলত সেই জনসচেতনতা সৃষ্টির একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র । অর্পণ- দর্পণ স্মৃতি ফাউনডেশণ আয়োজিত এ কর্মসূচীর সুফল রাতারাতি পাওয়া যাবে না সত্য; কিন্তু আমার জীবদ্দশায় যদি সারাদেশ ব্যাপী এই প্রতিযোগিতা চালানো যায়, তাহলে একটা কার্যকরী ফলাফল আসবে বলে আমার বিশ্বাস । ‘আমার জীবদ্দশা’ মানে অনির্দিষ্ট কোন সময়কাল নয় । বর্তমানে দেশের সাধারণ মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর । সেই হিসেবে আমার হাতে এখনও ১০ বছর সময় আছে । সেই সময়কে ‘আমার জীবদ্দশা’ বলা হয়েছে ।
আমাদের দেশে বইপড়া আন্দোলন নতুন কিছু নয় । পলান সরকারের মত অনেক মহান ব্যক্তিত্ব স্থানীয় পর্যায়ে বইপড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন । আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন । তাঁর নিরলস পরিশ্রমের ফসল দেশব্যাপী, বিশেষ করে দেশের সকল জেলা পর্যায়ে চলমান ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী কর্মসূচী । বলা যায় শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ দেশব্যাপী বইপড়ার যে প্লাটফরম গড়ে তুলেছেন, তার প্রত্যক্ষ অনেক সুফল ‘এগিয়ে যাওয়ার জন্য বই পড়ি’ প্রতিযোগিতা পেতে পারে । তবে, ‘এগিয়ে যাওয়ার জন্য বই পড়ি’ প্রতিযোগিতার প্রেক্ষিত সম্পূর্ণ আলাদা ।
আমরা কানকথা শুনি । অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হই । কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের সহজাত বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করিনে । সমাজে বা চাকুরীতে উচ্চ আসনে থাকা অনেক মানুষের সাথে আমি মিশেছি । তাঁদেরকেও কানকথা শুনতে এবং অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হতে দেখেছি আমি । এই কানকথা শোনা বা অন্যের কথায় প্রভাবিত হওয়া ব্যক্তি, সমাজ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর । কানকথা শোনা নৈতিক ও ধর্মীয় দিক থেকেও রীতিমত অন্যায় । কিন্তু আমরা এই কাজগুলো করি । ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাগৈতিহাসিক কায়দায় যে ধ্বংসলীলা চালানো হয়, তার পিছনে কানকথা এবং অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার ঘটনা ছিল মুখ্য । যে বা যারা এই ধ্বংসলীলা চালিয়েছেন, তাদের নিজেদের ধর্ম সম্বন্ধে প্রকৃত জ্ঞান থাকলে, এমনকি তাঁরা যদি নিজেদের সহজাত বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করার জ্ঞান রাখতেন; তাহলেও এ ধরণের ঘটনা ঘটত না । অবাক ব্যাপার নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা না থাকার কারণে সমাজের একটি বড় অংশ তাঁদের কর্মকাণ্ড সমর্থন করেছেন । বলা যায় এই জট খুলতেই ‘এগিয়ে যাওয়ার জন্য বই পড়ি’ প্রতিযোগিতার আয়োজন ।
অনেকে প্রশ্ন করেন-
যদি বইপড়া প্রতিযোগিতা হয়, তাহলে নজরুল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নয় কেন ? কোন বরেণ্য লেখকের বই নয় কেন ?
বরেণ্য লেখকগণের প্রতি আমার অপার শ্রদ্ধা । আমি যদি একসাথে মীর মোশাররফ হোসেনের ‘বিষাদ সিন্ধু’, কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ বইগুলো পড়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন করতাম, তাহলে শুনতে ভালো লাগতো । কিন্তু সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটে যাওয়া সমস্যা বা চলমান অন্য কোন সমস্যার সমাধান নিয়ে চিন্তা করা প্রতিযোগীদের জন্য কঠিন হত । বরেণ্য লেখকগণ বই লেখেন আমাদের জন্য । আমি তাঁদের বই পড়ি । সেই জ্ঞান দিয়েই আমি বই লিখি সাধারণ মানুষের জন্য । আমার একটা বই পড়ে একজন সাধারণ পাঠক যা জানবেন; তা জানার জন্য তাঁকে কমপক্ষে ২০ টি বরেণ্য লেখকের বই পড়তে হাবে - যা স্বল্প সময়ে তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় । বরং আমার সাধারণ মানুষের জন্য লেখা বই, একজন পাঠককে অন্য লেখকের বই পড়তে আগ্রহী করতে পারে । অন্তত ঝিকরগাছার পাঠকদের মধ্যে চালানো সংক্ষিপ্ত জরিপে সে রকম তথ্যই পাওয়া গেছে ।
‘এগিয়ে যাওয়ার জন্য বই পড়ি’ প্রতিযোগিতার সাথে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় সুধী সমাজকে সম্পৃক্ত করা হয় । এই প্রতিযোগিতা ঝিকরগাছা উপজেলায় বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলের যে আন্তরিকতা ও সহযোগিতা পাওয়া গেছে; দেশের সকল উপজেলার ক্ষেত্রে একই ধরণের সহযোগিতা পাওয়া গেলে, এ কর্মসূচীর সফলতা অনিবার্য ।
মহান আমার এই কর্মপরিকল্পনা কবুল করুন ।
দোয়া চাই সকলের ।
২৮ মে, ২০২১ । ইস্কাটন, ঢাকা ।

লিবিয়া থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছেন ৩০৯ বাংলাদেশি

সেফ এক্সিট নিয়ে এবার উপদেষ্টা আসিফের ফেসবুক পোস্ট

এবার হিজাব পরে কটাক্ষের শিকার অভিনেত্রী দীপিকা

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী

কিছু উপদেষ্টার মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই: সারজিস আলম

প্রাচীন মগধের আঁকিবুকি

দেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার আতঙ্ক বেড়ে চলেছে : গোলাম মাওলা রনি

২৩৭ কোটি টাকা বৈধ করতে কোটি টাকার ঘুষচুক্তি করেন এনবিআর কর্মকর্তা!

ভারত স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে বিরাগভাজন হলে কিছু করার নেই: তারেক রহমান

এক সপ্তাহের মধ্যে অনেক ঘটনা ঘটবে: তাজুল ইসলাম

বাংলাদেশে নির্বাচনে যেই ক্ষমতায় আসুক তার সঙ্গেই কাজ করবে দিল্লি: বিক্রম মিশ্রি

সেই শিক্ষার্থীকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার

ভাইরাল কৃষকের সঙ্গে জেমসের এই ছবির নেপথ্যে রয়েছে ‘ইতিহাস’

শেকড়ের খোঁজে

আবু ত্বহা আদনানের ‘অন্ধকার জীবন’ নিয়ে স্ত্রীর অভিযোগ

দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!

গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!

কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক

সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু

সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন

অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ

অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা

কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার

হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার

খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি

প্রণব মুখার্জি আর নেই

কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু

মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু
