avertisements 2
Text

মিহির কান্তি মজুমদার

বিশ্ব মাটি দিবস এবং আমাদের অপুষ্ট মাটির স্বাস্থ্য

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:০৪ এএম, ৩ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ পালিত হলো বিশ্ব মাটি দিবস। মাটির স্বাস্থ্য এবং মৃত্তিকা সম্পদের টেকসই ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে গত দশ বছর যাবৎ পালিত হচ্ছে  World Soil Day। মাটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন থাইল্যান্ডের দীর্ঘ সময়ের মহামান্য রাজা ভুমিবল। তিনি মাটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটি আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন বেশ আগে থেকেই। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ২০১৩ সালে মাটির স্বাস্থ্য নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক দিবস পালনের প্রস্তাব গ্রহণ করে। সে ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ পরিষদে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ World Soil Day পালনের সিদ্ধান্ত হয়। তখন থেকেই এদেশে জেলা পর্যায়ে আলোচনা/র্যালির মাধ্যমে বিশ্ব মাটি দিবস পালিত হয়ে আসছে। কৃষক সমাজ, যাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ দিবস, তাদের কাছে বিশ্ব মাটি দিবস এখনও অজানা। এবারের বিশ্ব মাটি দিবসের থিমের বাংলা করা হয়েছে “মাটি ও পানি: জীবনের উৎস”। আমাদের খাদ্যের শতকরা ৯৫ ভাগ আসে মাটি থেকে। মাটির কোন অনন্ত উৎস নেই- যে সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুষ্টি পাবে এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। প্রতি ফসল উৎপাদনের সাথে মাটি কিছু পুষ্টি হারায়, বিঘ্নিত হয় মাটির স্বাস্থ্য। 

স্বাস্থ্যই সম্পদ। এ প্রবাদটি এ জনপদে প্রচলিত বহু বছর ধরে। সে কারণে আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্যকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করে স্বাস্থ্য ও পুষ্টির অবস্থা উন্নয়নে প্রতিনিয়ত প্রয়াস ও উদ্যোগ অনেক। বৈশ্বিক মহামারী করোনার পরে এখন আমরা আধা-মহামারী ডেঙ্গু মোকাবেলা করছি। সাথে আছে সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বহুবিধ উদ্যোগ। সে তুলনায় মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা খুবই সীমিত। বরং উদাসীনতা ও অবহেলার তালিকা বেশ দীর্ঘ। অথচ মাটির স্বাস্থ্য আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফসলের পুষ্টির যোগান দেয়, ভুগর্ভস্থ পানির আধার পুরণ করে, পানি পরিশোধন করে এবং আমাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির অবস্থা উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করে।

কৃষি উৎপাদনের সকল সেক্টরের সাথে প্রয়োজন মাটির স্বাস্থ্য। জিডিপিতে আমাদের কৃষি সেক্টরের অবদান কম-বেশি ১৬ ভাগ। কিন্তু কর্মসংস্থানে কৃষির অবদান শতকরা প্রায় ৪৭ ভাগ। তাছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা, জীবিকা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা- এ সকল কারণে কৃষি অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বললেই মাটির স্বাস্থ্যর কথা বলতে হবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ব্যবহৃত হচ্ছে সার। উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাসায়নিক সারের ব্যবহার। কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়ছে অতি-ব্যবহার ও অপব্যবহার। খারাপ হচ্ছে মাটির স্বাস্থ্য। কৃষি উৎপাদন প্রতিবছর বাড়ছে। একই সঙ্গে  মাটির স্বাস্থ্যের অবস্থা অবনতি হচ্ছে। এ অবস্থা অবিলম্বে নিরসন না হলে, একটা সময় আসবে, যখন রাসায়নিক সারের অতিমাত্রার প্রয়োগেও উৎপাদন বৃদ্ধি ঘটবে না। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র থেকে জানা যায় ২০২৩ সালে ইউরিয়া, ফসফেট ও পটাশ সারের চাহিদা ৮২.৩৪ লক্ষ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ইউরিয়ার চাহিদা ৩৪.০২ লক্ষ মেট্রিক টন,  ফসফেট ৩৪.১৪ লক্ষ মেট্রিক টন এবং পটাশ ১৪.১৮ লক্ষ মেট্রিক টন। দেশে ইউরিয়া সারের উৎপাদন কমবেশি ১০ লক্ষ মেট্রিক টন। ফসফেট ১ লক্ষ মেট্রিক টন। অবশিষ্ট ইউরিয়া সার আমদানি করা হয় প্রধানত: সৌদি আরব, কাতার এবং ইউএই থেকে। টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) এবং ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট)আসে মরক্কো, তিউনিশিয়া, চীন ও জর্ডান থেকে। এবং মিউরেট অব পটাশ নামে পটাশিয়াম সার আসে বেলারুশ, কানাডা ও রাশিয়া থেকে। প্রতিবছর খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে এর রাসায়নিক সারের চাহিদা ও আমদানি বাড়ছে। 

আমাদের কৃষক সমাজ প্রধানত: এ তিনটি সারের উপর বেশি নির্ভরশীল। সার মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মিটায়। কৃষি ফসলের জন্য মোট ১৮টি অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অনুপুষ্টির দরকার। এর মধ্যে প্রধান পুষ্টির উপাদান হচ্ছে কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সালফার, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। অনুপুষ্টি হচ্ছে আয়রন, জিঙ্ক, বোরন, কপার, ক্লোরিন, কোবাল্ট, ম্যাঙ্গানিজ ও মলিবডেনাম। ফসলের প্রকৃতির উপর পুষ্টির ও অনুপুষ্টির চাহিদা নির্ভর করে। তবে যেকোনো উদ্ভিদ কোষের ৯৪ থেকে ৯৯ শতাংশ হচ্ছে কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন। উদ্ভিদ বাতাস ও পানি থেকে এ প্রধান উপাদান সংগ্রহ করে। নাইট্রোজেন, ফসফরাস পটাশিয়ামসহ অন্যান্য পুষ্টি ও অনুপুষ্টির চাহিদা সে মাটি থেকে নেয়। সেই মাটিই যদি অপুষ্টিতে ভোগে, তখন কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। তাছাড়া, মাটির পুষ্টি ও অণুপুষ্টির ঘাটতির কারণে শাক-সবজির এবং কৃষি ফসলের স্বাদও যথাযথ হয়না। 

কৃষি ফসলের অপুষ্টিজনিত ঘাটতি মেটাতে বর্তমানে সরকার প্রতিবছর কম বেশি ৩০,০০০ কোটি টাকা সাবসিডি প্রদান করে। যেমন নাইট্রোজেন সারের জন্য ইউরিয়া প্রতি কেজি ৯৬ টাকায় ক্রয় করে ২৭ টাকায় বিক্রয় করে। পটাশিয়াম সারের টিএসপি ৭০ টাকায় কিনে ২৭ টাকায় প্রতি কেজি এবং ডিএপি প্রতি কেজি ৯৩ টাকায় কিনে ১৬ টাকায় বিক্রয় করে। মিউরেট অব পটাশ (পটাশিয়াম) প্রতি কেজি ৫৪ টাকায় ক্রয় করে ২০ টাকায় বিক্রয় করে। কোন্ ফসলে কি পরিমাণ সার দিতে হবে এবং জমিতে কোন্ সারের কতটুকু ঘাটতি আছে, এ বিষয়ে কৃষক পর্যায়ে তথ্য ও ব্যবহারে অনেক ঘাটতি থাকে। এ কারণেই রাসায়নিক সারের অতিমাত্রায় ব্যবহার ও অপপ্রযোগ ঘটে। পাশাপাশি আছে সারে ভেজাল মিশানোর প্রবণতা। মৃত্তিকা গবেষণা ইনিস্টিটিউটের সমীক্ষায় দেখা যায় বাজারে যেসব ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সার পাওয়া যায় এর মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ ভেজাল মিশ্রিত। সমীক্ষায় আরো তথ্য হচ্ছে স্থানীয়ভাবে তৈরী ও ব্যবহৃত প্রায় ৫০,০০০ টন জিঙ্ক সালফেট সারের প্রভাবে মানুষের লিভার ও কিডনী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

খাদ্য নিরাপত্তার প্রয়োজনে আমরা একই জমিতে বছরে কয়েকবার ফসল উৎপাদন করছি। ফলে মাটিতে পুষ্টি ও অনুপুষ্টির ঘাটতি বাড়ছে ক্রমাগতভাবে।  এ সম্পর্কিত সমীক্ষা থেকে দেখা যায় বাংলাদেশের শতকরা ৪৯ ভাগ কৃষি জমিতে জিংকের ঘাটতি আছে। শতকরা ১২ ভাগ মাটিতে আয়রণ, ৩৩ ভাগ মাটিতে বোরণ এবং ১১ ভাগ মাটিতে মলিবডেনামের ঘাটতি আছে। সবার উপরে আছে জৈব সারের মারাত্মক ঘাটতি। আদর্শ মাটিতে শতকরা ৫ভাগ জৈব সার থাকতে হয়। শতকরা ৩ ভাগ জৈব সার না থাকলেই নয়। আমাদের আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাস জৈব সার উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। অথচ আমাদের জৈব সারের ঘাটতি অতিমাত্রায় বেশি। বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী আমাদের মাটিতে জৈব সারের পরিমাণ শতকরা ২ ভাগ বা তার নিচে। কোন কোন এলাকায় শতকরা এক ভাগের নিচে, যা কৃষি উৎপাদনে  একটি সংকটময় অবস্থার আশঙ্কা তৈরী করে। 

জৈব সারের উপর ভিত্তি করে এ জনপদে কৃষি ফসল উৎপাদিত হচ্ছে হাজার হাজার বছর ধরে। রাসায়নিক সারের আবির্ভাব মাত্র ১৯৫৭ সালে। তাও আবার ২,৬৯৮ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়াম সালফেট আমদানির মাধ্যমে। এ সারে সালফারের ঘাটতি মেটায়, সাথে আছে নাইট্রোজেন। এরপর ১৯৫৭ সালে ফসফেট এবং ১৯৬০ সালে মিউরিয়েট অব পটাশ নামে পটাশিয়াম সার আমদানি করা হয়।  মাঠ পর্যায়ে এসব সারের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৫৯ সালে। পরবর্তীকালে খাদ্য উৎপাদনের গতি বেড়েছে। বিশেষ করে স্বাধীনতার পরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI),কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI) এবং বিনা ধান ও অন্যান্য কৃষি ফসলের অনেক উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে ও করছে। মাঠে এসব কৃষি ফসলের উৎপাদন বেড়েছে দ্রুত গতিতে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রাসায়নিক সারের ব্যবহার। বিশেষ করে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। অন্যান্য পুষ্টি ও অনুপুষ্টির ঘাটতি বেড়েছে একই গতিতে। জৈব সারের ঘাটতি প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। 

মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রধান অবদান রাখে জৈব সার। মাটির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক গুণগতমান রক্ষায় জৈব সারের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। মাটির উপরের ভাগে বা টপ সয়েলে আছে কোটি কোটি অনুজীব। এসব অনুজীব জৈব পদার্থকে ভেঙ্গে অজৈব পদার্থে রুপান্তরিত করে। অজৈব পদার্থই উদ্ভিদ খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। এক চামচ মাটিতে যে পরিমাণ অনুজীব আছে, সারা বিশ্বে এত মানুষ নেই। আমরা এ টপ সয়েল নষ্ট করছি। ইটের ভাটায় পোড়াচ্ছি। আমরা  অনুজীব ও জৈব সারের ক্ষমতা ভুলে গেছি । মাটির স্বাস্থ্যর সাথে ফসলের স্বাস্থ্য গুলিয়ে এক করে ফেলেছি। ভুলে গেছি মাটির স্বাস্থ্য ও ফসলের স্বাস্থ্য কখনোই এক নয়। জৈব সার মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অনুপুষ্টির যোগান দেয়। আর রাসায়নিক সার ফসলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। ফসলের পুষ্টি বা অনুপুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জৈব সার যেমন মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, মাটির মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি, মাটি ক্ষয় রোধ এবং মাটির অন্যান্য গুণ বজায় রাখে। তেমনি ক্ষুদ্র অনুজীবের সহায়তায় মাটিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অনুপুষ্টির সরবরাহ অব্যাহত রাখে। রাসায়নিক সার বা অন্য কোন প্রক্রিয়ায় জৈব সারের এ ভূমিকা পালন করা সম্ভব নয়। 

এদেশের মাটি উর্বর। একথা শুনে আসছি সেই ছোটকাল থেকে। জনপ্রতি মিষ্টি পানির গড় প্রাপ্যতা এদেশে পৃথিবীর জনপ্রতি গড় প্রাপ্যতার চেয়ে ৩ গুণ বেশি। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা এখন অতিমাত্রায় রাসায়নিক সারের উপর নির্ভর করছি। জৈব সারের বিষয়ে উদাসীন থাকছি। তাই আমাদের উর্বর মাটির প্রবাদ এখন শুধু কথায়। কাজেও নেই। কাগজেও নেই। মৃত্তিকা গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে দেশের ৩১৫ টি উপজেলার কৃষি জমিতে একাধিক সারের ঘাটতি আছে। এই অবস্থা নিরসনে তারা একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছে কয়েক বছর আগে। প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন আছে জানা যায়। এ তালিকায় লবণাক্ত এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩টি জেলাকে বাদ রাখা হয়েছে। উপকূলের এবং পাহাড়ের এসব জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করলে দেখা যাবে সব উপজেলায় একাধিক সারের ঘাটতি আছে। আর জৈব সারের ঘাটতি আছে সব জেলায়, সব উপজেলায় এবং সব কৃষি ফসলের জমিতে। 

এ অবস্থা চলতে দেওয়া, আর মাটির স্বাস্থকে ধীরে ধীরে হত্যা করার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কৃষি ফসলের খড়, গোবর এবং হাঁস-মুরগির মল মিলিয়ে দেশে ৮৫ লক্ষ টনের বেশি জৈব পদার্থ উৎপন্ন হয়। সাথে আছে বাড়িতে উৎপন্ন পচনশীল জৈব পদার্থ। যা থেকে লক্ষ লক্ষ টন জৈব সার উৎপাদন সম্ভব। অথচ আমাদের জৈবসার উৎপাদন ও ব্যবহারের পরিমাণ ৬০ বা ৭০ হাজার টনের বেশি নয়। উন্নত সংস্করণের বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করা হলে একই সাথে জ্বালানি ও জৈব সার উৎপাদনে ভালো ভূমিকা রাখবে। বাড়াতে হবে ভার্মি কম্পোস্ট এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির কম্পোস্ট সার উৎপাদন ও ব্যবহার। মাটির স্বাস্থ্য ও কৃষি ফসলের স্বাস্থ্য এ দুটোকে আলাদা করে ভাবতে হবে। টপ সয়েল পোড়ানো ও নষ্ট করা বন্ধ করতে হবে। জেলা পর্যায়ে সেমিনারে বিশ^ মাটি দিবস পালন করলে মাটির স্বাস্থ্য ভালো হবে না। এটিকে আন্দোলনে রুপান্তরিত করতে হবে। কৃষক পর্যায়ে আন্দোলন সম্প্রসারিত করতে হবে। নিতে হবে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় বহুমুখী কার্যক্রম। এ বিষয়ে আমরা যত দ্রুত কার্যক্রম নিতে পারব, তত দ্রুত আমরা মাটির স্বাস্থ্যের হত্যার এ প্রক্রিয়া থেকে বের হতে পারবো। 
------------------------------------
ড. মিহির কান্তি মজুমদার, সাবেক সচিব। 

বিষয়:
avertisements 2
মৃত্যুর কতদিন পর বিয়ে করা যায়, গুগল সার্চ দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা!
মৃত্যুর কতদিন পর বিয়ে করা যায়, গুগল সার্চ দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা!
ফারুকীর ‘৪২০’ ফিরছে ‘৮৪০’ সিক্যুয়াল হয়ে 
ফারুকীর ‘৪২০’ ফিরছে ‘৮৪০’ সিক্যুয়াল হয়ে 
বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বাশার আল-আসাদ?
বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বাশার আল-আসাদ?
গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পাকিস্তানিদের ছাড় দিলো বাংলাদেশ, তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের
গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পাকিস্তানিদের ছাড় দিলো বাংলাদেশ, তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের
তারেক রহমানকে ‘ভিলেন’ বানানোর নীলনকশা!
তারেক রহমানকে ‘ভিলেন’ বানানোর নীলনকশা!
সৌদিতে  এক সপ্তাহে প্রায়  ১৮ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার
সৌদিতে এক সপ্তাহে প্রায় ১৮ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার
হঠাৎ উধাও  বোতলজাত সয়াবিন তেল, বিপাকে ক্রেতারা!
হঠাৎ উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল, বিপাকে ক্রেতারা!
রপ্তানি আয় : সম্ভাবনা থাকলেও বিকশিত হয়নি তৈরি পোশাকের বাইরের কোনো খাত
রপ্তানি আয় : সম্ভাবনা থাকলেও বিকশিত হয়নি তৈরি পোশাকের বাইরের কোনো খাত
ভারতকে পছন্দ করেন ৫৩.৬%, অপছন্দ করেন ৪১.৩% বাংলাদেশি
ভারতকে পছন্দ করেন ৫৩.৬%, অপছন্দ করেন ৪১.৩% বাংলাদেশি
চিকিৎসা-পর্যটনে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশিরা থাইল্যান্ডমুখী
চিকিৎসা-পর্যটনে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশিরা থাইল্যান্ডমুখী
শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট
শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি
কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতের হাসপাতাল, হোটেল ব্যবসা
কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতের হাসপাতাল, হোটেল ব্যবসা
টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে
টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে
এবার পেঁয়াজ-আলু আমদানিতে ভারতের বিকল্প খুঁজবে বাংলাদেশ!
এবার পেঁয়াজ-আলু আমদানিতে ভারতের বিকল্প খুঁজবে বাংলাদেশ!
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর  আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
avertisements 2
avertisements 2