পড়শীকে স্টেজ থেকে নামিয়ে দিলেন উত্তেজিত জনতা!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:০৬ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দিন দিন বাড়ছে বিদেশি শিল্পীদের আনাগোনা। মানহীন গানের বাজারে বিরক্ত শ্রোতারা বিদেশি শিল্পীদের গান শুনতে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে যাচ্ছেনও নানা কনসার্টে।
দেশীয় শিল্পীরা এ বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেন না। তাদের এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই কনসার্ট আয়োজকদের প্রতি। এদিকে কনসার্ট আয়োজকদের দাবি- দেশের ব্যান্ড তারকাদের পর হাতে গোনা খুব অল্প শিল্পীই আছেন যারা লাইভ গান করে শ্রোতাদের সন্তুষ্ঠ করতে পারেন। অনেক জনপ্রিয় শিল্পীরাও স্টেজ শো করতে এসে আয়োজকদের নাক কেটেছেন- এমন নজির আছে অনেক।
সম্প্রতি এমনই এক কান্ড ঘটালেন জনপ্রিয় সংগীত তারকা পড়শী। সোমবার, ২২ ফ্রেব্রুয়ারি রাতে নাটোরের বড়াইগ্রামে নব নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলারদের আমন্ত্রণে সেখানকার পৌরসভা মাঠে এক কনসার্টে গাইতে গিয়েছিলেন ক্ষুদে গানরাজ খ্যাত এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু সেখানে তার ব্যবহার ও গায়কীতে অসন্তুষ্ঠ হয়ে তাকে স্টেজ থেকে নামতে বাধ্য করেছেন স্থানীয় শ্রোতারা।
আয়োজকদের সূত্রে জানা যায়, কনসার্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৭টায়। পড়শী বিকেল ৪টায় সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাত ৮টায় স্টেজে ওঠার কথা থাকলেও তিনি স্টেজে ওঠেন রাত ১০টার পর। তাকে স্টেজে দেখেই শ্রোতারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কোনো রকমে গান শুরু করলেও দর্শক মজাতে পারেননি।
এক প্রতক্ষদর্শী অভিযোগ করে জানান, ‘পড়শী তার ‘তোমার চোখে আকাশ আমার’, ‘একা একা লাগে’, ‘খুঁজে খুঁজে’সহ পাঁচটি গান গান। কিন্তু শুরু থেকেই তার অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত শ্রোতারা তাকে নেমে যেতে বলেন। সেইসঙ্গে পড়শীর তাল-সুরের কোনোই মিল ছিল না গানে। ফলে দর্শক-শ্রোতারা ক্ষেপে যায়। পড়শীও তখন উল্টো ক্ষেপে যান। তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন- ‘আমি কী নর্তকী না বাঈজি যে নেচে নেচে আপনাদের মন ভরাব। আমি গান করতে এসেছি। শুনতে ভালো না লাগলে চলে যান’! তখন উপস্থিথিরা ভীষণ ক্ষেপে যান। একপর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহয়তায় কোনোরকমে পড়শী স্টেজ ছাড়তে বাধ্য হন।’
তিনি আরো বলেন, ‘পড়শী নেমে গেলেও পরিস্থিতি ছিলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র বারেক সরদার উত্তেজিত দর্শকদের শান্ত করতে না পেরে নিজেই স্থান ত্যাগ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহি অফিসার এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা দর্শক-শ্রোতাদের কথা দিতে বাধ্য হন- বড়াইগ্রামে আর কখনো পড়শীকে গান গাইতে আনা হবে না।’
এ প্রসঙ্গে মেয়র বারেক সরদার জানান, ‘গতকাল রাতে যা ঘটে গেল সেটি সত্যি দুঃখজনক। পড়শীর অনেক ভুল ছিলো। বিশেষ করে দর্শকদের সঙ্গে তার ব্যবহার ছিলো হতাশাজনক। তারকাদের কাছে কেউ এমন আচরণ আশা করে না।’
এদিকে এ ঘটনার পর বিস্তারিত জানার জন্য পড়শীর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। একইসাথে পড়শীর ফেরিভায়েড ফেসবুক, ফ্যান পেজ সবকিছু ডি-অ্যাক্টিভ করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা চলছে সংগীতাঙ্গনে। তবে ঘটনার সত্যতা ও বিস্তারিত জানতে পড়শীর মন্তব্য পাওয়া অবধি অপেক্ষা করছেন সবাই।