avertisements 2

চলেই গেলেন লাইটম্যান সবুজ, নাটক পাড়ায় শোক

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ এপ্রিল, বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৪ পিএম, ১০ মে,শুক্রবার,২০২৪

Text

৬ দিন হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেলেন লাইটম্যান সবুজ। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।এ তথ্য নিশ্চিত করে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন—‘লাইটের সেই সবুজ আর নেই। কার্ডিয়াক ফেইল করেছিল, ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।’
 
গত ৬ এপ্রিল চয়নিকা চৌধুরীর নাটকের সেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সবুজ। তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো যায়নি। প্রার্থনা করে চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘এই কয়েক দিন অনেক কষ্ট পেয়েছো, পরপারে ভালো থেকো সবুজ। তুমি আমার অন্তরে, চোখের উপরে থাকবে।’সবুজ নাটকপাড়ার পরিচিত মুখ ছিলেন। তার চলে যাওয়ায় শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়ে অনেক তারকা শোক প্রকাশ করেছেন। ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর লিখেছেন—‘সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই তাকে বেহেস্তবাসী করবেন।’ অভিনেতা সুজাত শিমুল লিখেন, ‘আহারে জীবন। আল্লাহ তোমাকে ওপারে ভালো রাখবেন নিশ্চয়ই। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করছি ভাই।’ সবুজের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর অনেক শুটিং সেটে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন শুটিং ইউনিট।

নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা নাটকের দৃশ্যের লাইট বাড়ানো বা ব্যালেন্স করার জন্য একধরনের সাদা বোর্ড ব্যবহার করি। সবুজ শুটিং হাউজের দোতলার বারান্দায় ওরকমই একটা বোর্ড ঠিক করছিলেন। বাইরে প্রচুর বাতাস ছিল। এমন সময় রাস্তায় থাকা বিদ্যুতের লাইনের সঙ্গে বোর্ডের ধাক্কা লাগে। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সবুজ। এরপর দ্রুত তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাই।

সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়।’চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘একেবারের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু এটা। আমাদের শুটিং হাউজের কারেন্ট বন্ধ ছিল। সবুজ বোর্ড ঠিক করতে গিয়ে জাস্ট বোর্ডটা রাস্তার তারের ওপর পড়লো, আর তিনি গিয়ে হাতটা দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে এ দুর্ঘটনা। আমার বেশি খারাপ লাগছে তার বাবা-মার কথা ভেবে। সবুজ তাদের একমাত্র সন্তান।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2