ট্রান্সজেন্ডার বিউটি ব্লগারকে হত্যাচেষ্টা, গ্রেপ্তার তিন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ জানুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:১৪ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
অভিযুক্ত ফুয়াদ ও ভুক্তভোগী সাদ মুআ
ট্রান্সজেন্ডার বিউটি ব্লগার সাদ মুআ কে যৌন হয়রানি ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ও সহযোগী নারী আরজেসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেট ও মহাখালী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে প্রেস কনফারেন্সে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে গত শুক্রবার যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন সাদ মুআ। ওই ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন অভিযুক্তরা। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছিল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ওরফে সানি, রিশু ও সাইমা নিরা। অভিযুক্ত ফুয়াদ নিজেকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা করতেন। আর সাইমা নিরা নিজেকে পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এজাহারে ভুক্তভোগী জানান, তিনি ওই যুবকের কথা বিশ্বাস করে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকে ৫ নম্বর সড়কের এক বাসার দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে যান। সেখানে যাওয়ার পর তিনি এক নারী ও আরেকজন পুরুষকে দেখতে পান।
ওই তিন জন ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন। এতে বাধা দিলে তিন জন তাকে মারধর শুরু করেন এবং বলতে থাকেন এই ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন। এ সময় ৩ জন নিজেদের আইনের লোক পরিচয় দেন। তাদের কাছে অস্ত্র ও ওয়াকিটকি ছিল বলে জানান তিনি।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ভুক্তভোগীর কাছে থাকা মোবাইল ফোন, সোনার চেইন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর তার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে বলা হয়, না দিলে মেরে পূর্বাচলে ফেলে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তাকে থানায় নিয়ে যাবে বলে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরিয়ে রাত ৮টার দিকে রামপুরা এলাকায় একটি হাসপাতালের সামনে ফেলে যায়।