আমাদের সংসারটা একদম ভাঙার পথে, শুধু ডিভোর্সটাই বাকি আছে: সুবাহ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩০ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪৯ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
গত ১ ডিসেম্বর ক্রিকেটার নাসির হোসেনের সাবেক প্রেমিকা মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন গায়ক ইলিয়াস হোসাইন। তবে এটি সুবাহর প্রথম বিয়ে হলেও ইলিয়াসের তৃতীয় বিয়ে।
স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই তৃতীয় বিয়ে করেছেন ইলিয়াস। স্বামীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন ইলিয়াসের দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল কারিন নাজ। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর তৈরি হয় জটিলতা। এসব বিষয় নিয়ে দাম্পত্য জীবনে টানাপড়েন চলছে এই নব দম্পতির।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) ঝগড়া করেন ইলিয়াস-সুবাহ। যা ফেসবুকে লাইভ করেন সুবাহ। তারপর শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দাম্পত্য কলহ নিয়ে ফেসবুক লাইভে দীর্ঘ বক্তব্য দেন সুবাহ। কথার শুরুতে এ চিত্রনায়িকা বলেন—
‘‘আমি লাইভে আসতে বাধ্য হলাম। আমাদের সংসারটা একদম ভাঙার পথে। শুধু ডিভোর্সটাই বাকি আছে। অথচ কয়েকদিন আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। এসব হচ্ছে শুধু একটা মেয়ের জন্য। বিয়ের আগেও তাকে বলেছি, যদি তোমার সমস্যা থাকে তবে তুমি বলতে পারো।
তখন কারিন বলেছে, ‘না আমার কোনো সমস্যা নাই।’ এসব কথপোকথনের রেকর্ডও আমার কাছে আছে।’’ ইলিয়াসের সঙ্গে ঝ’গ’ড়ার সময় ফেসবুক লাইভে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে সুবাহ বলেন, ‘যখন ইলিয়াসের সঙ্গে আমার ঝ’গ’ড়া চলছিল, তখন রাগের মাথায় লাইভে আসছিলাম।
আমি এটা জানাতে চেয়েছি যে, আমরা কতটা অশান্তির মধ্যে আছি।’ লিগ্যাল কাগজপত্র থাকলে কারিনকে আইনিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান করে সুবাহ বলেন—‘কারিন নামে যে মেয়েটা আছে সে চায় লাইভে এসে আমি তার নাম বলি, আর সে ভাইরাল হয়ে যাক, হিট হয়ে যাক।
তার সঙ্গে ইলিয়াসের লিগ্যাল কোনো কাগজপত্র নাই। ওই মেয়ে এখন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে অশান্তি করতেছে। সাংবাদিকদের কাছে ইলিয়াস ও আমাকে নিয়ে নানা কথা বলছে। আমার কথা হলো, কারিনের যদি লিগ্যাল কোনো কাগজ থাকে তবে সে আইনিভাবে পদক্ষেপ নিক।
এইভাবে কেন পেইন দিচ্ছে? বিষয়গুলো নিয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমার জ্বর, গলা ভেঙে গেছে, সারাটা দিন কাঁদতে কাঁদতে আমার অবস্থা খারাপ।’ তৃতীয়পক্ষের মানসিক অ’ত্যাচা’রের কারণে যেকোনো সময় দুর্ঘ’ট’না ঘটতে পারেও বলে মনে করেন সুবাহ।
তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন—‘আসলে আমাদের অবস্থাটা এমন পর্যায়ে এসেছে যে, যেকোনো সময়ে আমাদের ডিভোর্স হয়ে যেতে পারে। না হলে দুইজনের কোনো একজন দুর্ঘ’ট’না ঘটাতে পারি। আর এটা হতে পারে শুধু তুতীয়পক্ষের জন্যই।’