যে কোন সময়ে গ্রেফতার মিথিলা, তাহসান ও ফারিয়া

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন তারা।

নিজ কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমন তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।

ডিসি বলেন, চটকদার বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাজারো গ্রাহককে এরইমধ্যে পথে বসিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। এমন অভিযোগে এক ব্যক্তি মামলা করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার শুরু থেকে সংযুক্ত করা হয়েছিল নামিদামি এসব তারকাদের।

মামলার বিষয়টি জানাজানি হয় বৃহস্পতিবার। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এসআই মো. রাজিব হাসান শুক্রবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন। মামলায় এ তিন সেলিব্রেটি ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন-গ্রেফতার হওয়া ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েস। মামলায় শামীমা ও এমডি রাসেলকে শোন-অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত কর্মকর্তা জানান-সাদ স্যাম রহমান তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও সহায়তা করা হয়েছে। আত্মসাতে টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা, যা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি। এজাহারে বলা হয়েছে-তারকা তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি ও বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এসব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন।

সূত্রমতে, আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালিতে গায়ক-অভিনেতা তাহসান খান শুভেচ্ছাদূত হিসাবে যুক্ত ছিলেন। আর রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল শুভেচ্ছাদূত ছিলেন। এছাড়াও প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন শবনম ফারিয়া। তবে ইভ্যালি নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে নেন।