avertisements 2

এফডিসিতে বস্তি বানিয়ে শুটিং!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৮ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২৩ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

এফডিসির ভেতরে ঢুকে যে কেউ চমকে যাবেন। পরিচিত প্রাঙ্গণের এক পাশ যেন চেনাই যাচ্ছে না। ছোট ছোট ঘর আর ঘর। পুরোদস্তুর ‘বস্তি’ বানিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রথমবার এফডিসিতে ঢুকে কেউ বুঝতেই পারবেন না, কোথায় এসেছেন তিনি। শুটিং দেখতে আসা এমন এক দর্শনার্থী বিস্ময় নিয়ে বলেই বসলেন, ‘বস্তিতে শুটিং হচ্ছে নাকি?’

এফডিসিতে গত ৩ দিন ধরে শুটিং চলছে ‘ভাঙন’ সিনেমার। আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত এই শুটিং চলবে। শুটিং শুরুর আগে এখানে বস্তির আদলে অনেকগুলো ঘর করা হয়েছে। মীর্জা সাখাওয়াত হোসেন পরিচালিত সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘ভাঙন’র শুটিংয়ে গতকাল বুধবার অংশ নেন মৌসুমী ও ফজলুর রহমান বাবু। সকাল থেকে রাত অবধি শুটিং চলে।

‘ভাঙন’ মূলত ভাসমান মানুষদের গল্পের সিনেমা। কেউ নদীর ভাঙনে ঘরহারা, কেউ অন্য কারণে ঘরছাড়া। একসময় সেই মানুষগুলো বস্তিতে বসবাস শুরু করেন। তাদের দুঃখের গল্প থাকছে এ সিনেমায়।

সিনেমায় দেখা যাবে, ফজলুর রহমান বাবু বস্তিতে এসে জায়গা নেন। তিনি বাঁশি বাজিয়ে ও বিক্রি করে জীবনযাপন করেন। মৌসুমীও বস্তিতে থাকেন। তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। একটার পর একটা দৃশ্যে অংশ নেন মৌসুমী ও ফজলুর রহমান বাবু। শুটিং দেখতে ভিড় হয়ে যায়। মৌসুমীকে অতি সাধারণ পোশাকে বস্তির ঘরে শুটিং থেকে বের হতে দেখে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘দেখ দেখ মৌসুমীকে চেনাই যাচ্ছে না!’

ফজলুর রহমান বাবুর ব্যাগে অনেকগুলো বাঁশি দেখে আরেকজন বললেন, ‘এত বাঁশি কেন উনার কাছে?’ পরিচালক চিৎকার করে বলে বসলেন, ‘আস্তে কথা বলেন? শুটিং চলছে।’

পরের দৃশ্যের জন্য তাড়া দিলেন পরিচালক। বললেন, ‘সূর্য ডুবে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি করতে হবে?’ এরপর ছোট্ট এক ঘরের ঢুকেন মৌসুমী। তার হাতে তোয়ালে। ফজলুর রহমান বাবুর জ্বর এসেছে। শুয়ে আছেন তিনি। মৌসুমী ভেতরে গিয়ে বাবুর মাথায় ভেজা তোয়ালে রাখেন। প্রথমবারে দৃশ্যটি চূড়ান্ত হলো না।

পরিচালক বললেন, ‘মৌসুমীর কপালে ঘাম, ওটা মুছতে হবে।’ মেকআপম্যান দৌড়ে এলেন ঘাম মুছতে। আবার দৃশ্য ধারণ শুরু হলো। এবারও সমস্যা হলো। অতঃপর ৩ বারে দৃশ্যটি চূড়ান্ত হয়। এ দিকে সূর্য ডুবে যায়। সামান্য বিরতি দেওয়া হয় শুটিংয়ে। এক এক করে মৌসুমীকে দেখার জন্য ভিড় বাড়তেই থাকে।

‘ভাঙন’ নিয়ে মৌসুমী দ্য বলেন, ‘এটি মূলত ভাসমান মানুষের জীবনের গল্প। চরিত্রটি করতে গিয়ে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম! সত্যিই তো এরকম মানুষও আছে আমাদের চারপাশে। কতই না কষ্ট তাদের।’ ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ‘আগামী কয়েকদিন বস্তির দৃশ্যের কাজ করব। ভালো কাজ করতে পেরে মনটা ভরে গেছে।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2