avertisements 2

নানা আমাকে বট গাছ করে দিয়ে গেছে: পরীমণি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ নভেম্বর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:০৮ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

ছোটবেলায় বাবা-মা হারানোর পর পরীমণি নানা শামসুল হক গাজী কাছেই বড় হয়েছেন। যিনি আমৃত্যু অভিনেত্রীর সবচেয়ে নিকটজন হয়ে পাশে ছিলেন। বিশেষ করে শেষ কয়েক বছর পরীমণির জীবনে বয়ে যাওয়া সব ঝড়েই পাশে ছিলেন তিনি। পরীমণিও নানাকে ভালোবাসতেন সর্বোচ্চ মমতায় নিজের সন্তানের আবহে। বলা হয়ে থাকে, পরী তার স্বজনদের মধ্যে একমাত্র নানাকেই পাশে রাখতেন। সেই নানু ভাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন।

স্বাভাবিকভাবে নানার স্মৃতি হাতরে বেড়াচ্ছে পরীকে। শুক্রবার চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়ার পর শনিবার কাকডাকা ভোরে নানুর কবরের পাশে ছেলেকে নিয়ে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন পরী। তাতে পরীমণি লিখেছেন, ‘এই কবরস্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনো দিন। এই জীবনে আমার নানার মতন কেউ আমাকে ভালোবাসেনি। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কি ছিল।’

দীর্ঘ জীবনের পথচলায় পরীকে বট গাছের মত বিশাল হৃদয়ের মানুষ হতে শিখিয়েছেন শামসুল হক গাজী। মৃত্যুর শেষ সময় পর্যন্ত নানার হাতে হাত রেখে ছিলেন পরীমণি।

পরীর কথায়, ‘আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছে। এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিবেন এটা আমার নানুর দোয়া। কত ভাগ্য, আমি আমার নানুর সঙ্গে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই, কত সান্ত্বনায় রেখে গেলো আমাকে। জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর।’

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত রাত ২টা ১১ মিনিটে (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন শামসুল হক গাজী। গুলশান আজাদ মসজিদে গোসল করানোর পর ভোর ৪টায় পরীমণির নানুভাইকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের শিংখালীতে। সেখানেই তাকে কবর দেওয়া হয়।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2