ঢাকায় আসছে উচ্চপর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ জুন,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৩৯ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ও ডোনাল্ড লু (বাম থেকে)। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় সফরে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল।
জুলাইয়ে মার্কিন প্রতিনিধি দলটির ঢাকায় সফরে আসার কথা রয়েছে। প্রতিনিধি দলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুও থাকছেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সফরকালে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করবেন।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অব্যাহতভাবে যুক্ত আছি। এটা ভালো দিক যে, তারা আমাদের বক্তব্যগুলো ইতিবাচকভাবে শুনছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুবিধ সম্পৃক্ততা রয়েছে। এসব বিষয় আলোচনা করার জন্য তারা এবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন।’
সূত্র জানায়, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশ সফরকালে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তারা।
চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সে হিসাবে জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। তার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর বেশ গুরুত্ব বহন করছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরামর্শ দিয়ে আসছে। সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে তাকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এই মর্মে বাংলাদেশের জন্য ইতোমধ্যেই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে দেশটি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাইডেন প্রশাসনের গণতন্ত্র প্রসারের এজেন্ডার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটা 'দৃষ্টান্ত' হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন একটা মূল্যবোধভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা জোরালোভাবে প্রয়োগ করছে। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠলেও তখন যুক্তরাষ্ট্র এরকম কোন ভূমিকা নেয়নি, কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি মূল্যবোধভিত্তিক ছিল না। কিন্তু বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি মূল্যবোধভিত্তিক এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে তারা অগ্রাধিকারের তালিকায় এক নম্বরে রেখেছে।