শূন্য হাতে ঢাকায় এসে অনেক সংগ্রাম করেছি: সুমি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:০৩ এএম, ১৪ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২৫

চিরকুট ব্যান্ডের হয়ে এখন যাঁদের মঞ্চ মাতাতে দেখা যায়, শুরুর দিকে তাঁদের একজন ছাড়া আর কেউই ছিলেন না। শারমিন সুলতানা সুমী,শোয়েব ও পারভেজ সাজ্জাদ—এই তিনজন মিলে ২০০২ সালে শুরু করেন চিরকুট।
তাঁরা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পথ চলতে চলতে এরপর অনেকে চলে যান, আবার অনেকে যুক্ত হন। এই আসা–যাওয়ার মধ্যে একজনই এখনো দলটাকে আগলে রেখেছেন। তিনি সুমী, চিরকুট ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
বর্তমানে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘চিরকুট’ বাংলা গানের গৌরবে অতিক্রম করেছে সুদীর্ঘ ২০ বছর। ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠে বিশেষ কনসার্টের আয়োজন করে ব্যান্ডটি।
‘টিএসসি টু ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন’ শিরোনামের এই কনসার্টে শ্রোতাদের উপচে পড়া উপস্থিতি নজরে আসে। মঞ্চে উঠে একের পর এক গানে উপস্থিত শ্রোতাদের উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে দেন ‘চিরকুট’র ভোকাল, গীতিকার ও সুরকার শারমীন সুলতানা সুমি। শ্রোতারাও তার সঙ্গে কণ্ঠ মেলান।
মঞ্চে উঠার আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সুমি জানান, ‘খুলনা থেকে শূন্য হাতে এসেছিলাম। এই জায়গা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) জানে আমার প্রথম সবকিছু। চিরকুট নিয়ে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে।এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলো, বাতাস, ছায়া- তা জানে। সেসব কথা কাউকে বলতে চাইনি। সবসময় হাসিমুখে থেকেছি। তবে এখানে আসলে একদম গলে যাই।’
তিনি যোগ করেন, ‘অনেক কাজ বেড়েছে, প্রাপ্তি এসেছে। সবচেয়ে বেশি এসেছে মানুষের ভালোবাসা। আমি পৃথিবীটাকে সহজ করে দেখতে চাই। এত কঠিন ভালো লাগে না।
সবার জীবনেই সংগ্রাম, সাফল্য থাকে। শুধু শুধু জটিল করার প্রয়োজন নেই। কালকেই মরে যেতে পারি। চেষ্টা করি, কাছের মানুষদের কাছাকাছি থাকতে। আমি মনে করি, কনসার্টে আসা শেষ মানুষটাও আমার মানুষ। সেই অনুভূতি আমার মধ্যে কাজ করে।’
গায়িকার ভাষ্য, ‘আমার বাবা-মাকে দেখতাম, সবসময় মানুষের উপকার করতে চাইত। কিন্তু আমার তো কোনো উপায় ছিল না। সৃষ্টিকর্তা দয়া করে আমাকে মিউজিক দিয়েছেন। সেটাকে কীভাবে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো যায়, সেই চেষ্টা করছি।’