‘জীবন কখনও কখনও অনেক বড় পরীক্ষার অন্য এক নাম’: বিশ্বজিৎ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৪৬ এএম, ১৯ এপ্রিল,শনিবার,২০২৫

ছেলে নিবিড়ের সঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ ফাইল ছবি
নন্দিত সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার দে টরেন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে আইসিউতে চিকিৎসাধীন। নিবিড়ের সুস্থতা এবং পরিবারের দুঃসহ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ।
একমাত্র ছেলেকে নিয়ে সন্ধ্যায় ফেসবুকে কুমার বিশ্বজিৎ লিখেন, ‘জীবন’ কখনও কখনও অনেক বড় পরীক্ষার অন্য এক নাম। হঠাৎ আসা কোনও ঝড়ের মতো গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি কানাডার টরন্টো শহরে আমার একমাত্র সন্তান নিবিড় এবং তার তিন বন্ধু আরিয়ান দীপ্ত, শাহরিয়ার খান মাহির ও এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। আরিয়ান, মাহির ও শ্রেয়া আমাদের সবাইকে ছেড়ে অন্য দুনিয়ায় চলে গেছে।’
এই সংগীতশিল্পী টরেন্টো থেকে ফেসবুকে আরও লিখেন, ‘নিবিড়ের মতোই বাকি তিনজনকে আমি আমার সন্তানই মনে করি। তারা আমার পরিবারেরই একটা অংশ। তাদের সবার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ছিল বন্ধুতুল্য। আমি মেনে নিতে পারছি না, তারা নেই। সন্তান হিসেবেই তাদের স্মৃতি আমার হৃদয়ে থাকবে চিরজাগ্রত। আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদের এই শোক সহ্য করার শক্তি দেন।’
কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আমি ঈশ্বরের কাছে আরও প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাকে ও আমার পরিবারের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে আমার ‘নিবিড়’-কে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন। নিবিড় এখনও আইসিইউতে শয্যাশায়ী।’
সবশেষ লিখেন, ‘এই ঘটনায় আমি মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত। আমি আমার সব বন্ধু, পরিচিতজন এবং ভক্তদের কাছে ‘নিবিড়’-এর জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করছি। আর যারা ইতোমধ্যে নিবিড়ের সুস্থতা কামনা এবং আমার পরিবারের এ দুঃসহ অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করেছেন তাদের কাছে আমি চিরঋণী।’
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে টরন্টো পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, টরন্টোর স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন নিবিড়। আরোহী ছিলেন শাহরিয়ার, অ্যাঞ্জেলা ও আরিয়ান। খুব দ্রুতগতিতে চলার কারণে এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে উঠতে টার্ন নেওয়ার সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পরে গাড়িটি হাইওয়ের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুজন আরোহী মারা যান।
হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়। নিহত তিনজনও বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পড়াশোনা করতে গেছেন।