সহকর্মীর দুই সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে যান খাইরুল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:২০ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
খাইরুল কবির ছবি: সংগৃহীত
জাপানে লেকের পানিতে ডুবে খাইরুল কবির (৩৮) নামে এক বাংলাদেশি সফটওয়্যার প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে সিজুওকা প্রিফিকসার লেকে এ ঘটনা ঘটে।
খাইরুল কবির জাপানের রেকুটেন কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি পাবনা শহরের শালগাড়িয়া রেঁনেসা পাঠাগার এলাকার সাবেক সেনা কর্মকর্তা মৃত আবুল কাশেম শিকদারের ছেলে। এ ছাড়া তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিন উদ্দিন মৃধার ভাগ্নে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, অত্যন্ত মেধাবী খাইরুল সাত বছর আগে জাপানের অন্যতম বৃহৎ কোম্পানি রেকুটেনে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন। তিনি সপরিবারে টোকিওর মাসিদাতে বসবাস করতেন। রোববার সকালে কয়েকজন আত্মীয় এবং সহকর্মীদের সঙ্গে সিজুওয়াকা প্রিফিকসার লেকে বেড়াতে যান খাইরুল। লেকটি একটি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে খাইরুলের এক সহকর্মীর দুই কিশোর ছেলে লেকের পানিতে পড়ে যায়। এ সময় বাঁচাতে খাইরুল দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়েন লেকে। ছেলে দুটিকে বাঁচাতে পারলেও খাইরুল আর উঠতে পারেননি। ছেলে দুটিকে পাড়ের দিকে ঠেলে দিয়ে তিনি তলিয়ে যান।
খাইরুলের এই তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য তাঁর স্ত্রী-সন্তানসহ অন্যরা পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখলেও কেউ তাকে উদ্ধার করতে পারেননি। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুর ১২টার দিকে খাইরুলের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। মরদেহ বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালের হিমাগারে রাখা আছে।
খাইরুলের স্ত্রী মিতু আক্তার বলেন, সহকর্মীর দুই সন্তানকে উদ্ধারের পর আমাদের চোখের সামনেই সে গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। আমাদের দুই শিশু সন্তান এভাবে তাদের বাবার চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। লেকের পাড় থেকে তাদের সরানো যাচ্ছে না। আমি এখন কীভাবে ওদের সান্ত্বনা দেব?