প্রাণ দিয়ে বড় ক্ষতি থেকে বাঁচালেন বিমান বাহিনীর সেই পাইলট
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ মে,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:২৪ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
স্ত্রী-সন্তানসহ পাইলট অসীম জাওয়াদ : সংগৃহীত
আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় আগুন ধরে চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি গড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায়।
বিমানের পাইলট অসীম জাওয়াদ প্যারাসুটে অবতরণ করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাইলট অসীম জাওয়াদের মৃত্যু ঘটে।
অসীম জাওয়াদ নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনমানুষকে বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বীরত্বের কথা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
ঝিনাইদহে পিতার জমির ভাগ নিতে এসে তিনবোন হাসপাতালে
বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যখন দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সেসময় বিমানবন্দরের পাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যান দুই পাইলট ।
কারণ এটা না করলে বড় ধরনের ক্ষতি বিমানবন্দরের পাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। এর ফলে অনেক বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় স্থানীয় মানুষজন।
নিহত পাইলট অসীম জাওয়াদ (৩২) একজন বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হন পাইলট সোহান। তিনি বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
জানা যায়, নিহত মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ ১৯৯২ সালের ২০ মার্চ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো. আমান উল্লাহ এবং মায়ের নাম নিলুফা আক্তার খানম।
আসিম জাওয়াদ ২০০৭ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে বিএসসি (অ্যারো) পাস করেন।
২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার পান এবং জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।