avertisements 2

বিরোধীদের নির্বাচন বাতিলের হুমকি একটা চ্যালেঞ্জ : ইসি আলমগীর

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:২২ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

ফাইল ছবি

যেহেতু কয়েকটি দল নির্বাচনে আসছে না, তাদের নির্বাচন বাতিলের হুমকি একটা চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কিভাবে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে একটি নির্বাচন করা যায় এবং ভোটাররা যাতে উৎসাহিত হয়ে ভোট দিতে আসে, সেইসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ঢাকার মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এটাই আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান

বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা উন্নত দেশে নির্বাচন বলতে- অর্থাৎ আমেরিকায় নির্বাচন তো নির্বাচন কমিশন করে না। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট থাকে না, কোনো র‌্যাব থাকে না, পুলিশ থাকে না, এমনকি কিছুই থাকে না। সেখানকার পরিবেশ, আর আমাদের পরিবেশ তো এক না।

সাংবাদিকরা জানতে চান, হরতাল-অবরোধ, জ্বালাওপোড়াও যদি সামনে আরো বাড়ে, তাহলে আপনাদের ভোট সুষ্ঠু করার জন্য এটা একটা বাড়তি চ্যালেঞ্জ হবে কি না? জবাবে তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধ শুধু মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ। আমি ১৪টা জেলা ঘুরে এলাম। আমাদের এখানে আছে নির্বাচন ম্যানেজমেন্ট, আইন-শৃঙ্খলা। তবে পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক বলে সবাই মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, ১৪ জেলায় যাওয়া মানে তো বিভিন্ন জায়গা দিয়েই যাওয়া হয়েছে। সেখানে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন দেখেছি। কোথাও আন্দোলনের কোনো লক্ষণই দেখিনি। যা দেখি, তা আপনাদের মিডিয়ায় দেখি। এর বাইরে বাস্তবে কোনো জেলায় কিছু দেখিনি।

মানুষ ভোটকে উৎসব হিসেবে নিয়েছে। নানা রকম মিছিল দেখেছি, নির্বাচনী জনসভা দেখেছি। কিন্তু আমি কোনো নির্বাচনের বিপক্ষে কোনো কথা বলতে বা অনুষ্ঠান দেখিনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ঢাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আরও ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিজিবি ঢাকা সেক্টর কমান্ডারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন তারা। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, ২৭ রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2