সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় কোন দেশে গণতন্ত্রের উন্নতি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৪২ এএম, ১৩ জুলাই,রবিবার,২০২৫

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কিছুই জানেন না দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দেবে কি দেবে না তা-ও জানি না। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের প্রচুর আলোচনা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) মার্কিন উপসহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তারের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে কথা এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল এলে ভালো, না এলে আমরা তাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করব না। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারও দলে নেই, কারও লেজুড় হতে চাই না। আমরা ছোট দেশ হয়েও বড় দেশের কথা শুনি না। আমরা তাদের জিনিস কিনি না, এ জন্য একটু বেড়াজালে আছি। তবে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু লোক আছে যারা বিদেশিদের কাছে ভুল তথ্য তুলে ধরে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকার অ্যাকশন সিকিউরিটি অফিসার সদলবলে আসেন। অ্যাডভাইজারও ছিলেন। তারা মাঝপথে থেমে গেছে বলে যে সংবাদ বেরিয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।’
বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব যুক্তরাষ্ট্র। গত মে মাসে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। এ নীতির অধীনে বাংলাদেশের ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর নিউ ইয়র্ক সফরের মধ্যেই গত ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানান, সেই ভিসা নীতি আরোপ শুরু করেছে তার দেশ। যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ক্ষমতাসীন এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আছেন। এসব ব্যক্তির পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য হতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রশ্ন করেছিলাম, তোমরা স্যাংশন দিয়ে কোন দেশে গণতন্ত্র এনেছ বলতো? তোমাদের এই স্যাংশন, কোথায় তোমরা দিয়েছিলা… নাইজেরিয়ায়, কম্বোডিয়ায়, হাঙ্গেরি, কোথাও কি তোমরা সফল হয়েছ?’
‘বললো যে, তার কোনো প্রমাণ নাই। সুতরাং, এগুলো অকারণ, এগুলো হচ্ছে উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের মাধ্যমে পৃথিবীর মধ্যে ‘ভালো অবস্থান’ করায়, ভৌগোলিকভাবে ‘কৌশলগত’ অবস্থান এবং স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশ অনেকের ‘চক্ষুশূল’ হয়েছে।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

হঠাৎ কোটা ব্যবস্থা নিয়ে ফেসবুকে আসিফ নজরুলের পোষ্ট

এনবিআরের আন্দোলন ছিল সরকারবিরোধী, লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক ক্ষতির

আল জাজিরার প্রতিবেদন: হাসিনার পতনে ভূমিকা রাখা র্যাপ-মিম কি নতুন রাজনৈতিক আবহের জন্ম দিচ্ছে?

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা সাময়িক বরখাস্ত
