আঁখি আমার রোগী ছিলেন না : ডা. সংযুক্তা সাহা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ জুন,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:৪১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ডা. সংযুক্তা সাহা (বাঁয়ে) ও আঁখি ছবি: সংগৃহীঅ
সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নবজাতক ও তার মা মারা যাওয়ার ঘটনায় ডা. সংযুক্তা সাহা বলেছেন, মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় সেন্ট্রাল হসপিটাল তার নাম ব্যবহার করে অনিয়ম করেছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) রাজধানীর পরীবাগে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হসপিটালে ভুল চিকিৎসা ও প্রতারণায় আঁখি ও সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সংযুক্তা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
ডা. সংযুক্তা সাহা বলেন, বিশ্বাস করেন, সেন্ট্রাল হসপিটাল আমার নাম ব্যবহার করে অনিয়ম করেছে।
তারা এমন অনিয়ম করবে, আমি ভাবতেও পারিনি। আঁখি আমার রোগী ছিলেন না। তিনি কুমিল্লার একটি স্থানীয় হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছেন। এ বছরের মার্চে তিনি দুইবার সেন্ট্রালে এসে আমাকে দেখিয়েছিলেন।
নিয়মিত রোগী হতে হলে একজন গর্ভবতীকে গর্ভাবস্থার শুরুতে প্রতি মাসে একবার এবং শেষের দিকে দুই সপ্তাহে একবার দেখাতে হয়। আঁখি আমার নিয়মিত রোগী ছিলেন না। আঁখি যখন হাসপাতালে আসেন, তখন আমি দেশে ছিলাম না। আমার টিকিট ও বোর্ডিং পাস আমার কাছে আছে।
আমি ভিডিও কলেও অপারেশন মনিটর করিনি। সব মিথ্যা।
আঁখি ও তার সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি তাদের জন্য শোক প্রকাশ করছি। তাদের বিদেহী আত্মার (রুহের) মাগফেরাত কামনা করছি। নবজাতকের বাবা মো. ইয়াকুব আলী ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।
এই অবহেলাজনিত মৃত্যু কাম্য নয়। আসুন আমরা এই সমস্যাটি এড়িয়ে না গিয়ে প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করি।
সংযুক্তা আরো বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল প্রকৃত ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে এবং নিজেদের দোষ আড়াল করার জন্য সব রকম পন্থা অবলম্বন করছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। তাদেরকে খুঁজে বের করা উচিত। আমিও একজন সন্তানের মা, আমি একজন চিকিৎসক। আমি এ দেশেরই লোক। দেশ এবং সমাজের প্রতি আমার যে দায়বদ্ধতা, সেখান থেকেই আমি মিডিয়ার সামনে সঠিক তথ্যটা তুলে ধরতে চাই।
এর আগে গত ৯ জুন প্রসব ব্যথা নিয়ে সেন্ট্রাল হসপিটালে আসেন আঁখি। ওই দিন নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করার কথা থাকলেও পরে সিজার করা হয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে পরদিনই আঁখিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরই মারা যায় নবজাতক। আট দিন চিকিৎসাধীন থেকে রবিবার (১৮ জুন) মাহবুবা রহমান আঁখিও মারা যান।