অন্যের হয়ে জেল খাটা সেই মিনু আক্তার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি কুলসুমা আক্তারের হয়ে প্রায় তিনবছর জেল খেটে সদ্য কারামুক্ত মিনু আক্তার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তবে পরিচয় না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম অজ্ঞাত লাশ হিসেবে তাকে দাফন করে। পরে তদন্ত শেষে জানা যায়, এটি সেই আলোচিত মিনু আক্তার।
শনিবার (৩ জুলাই) রাতে নগরীর বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ২৮শে জুন রাতে বায়েজিদ লিংক রোডে আমরা গাড়ির ধাক্কায় নিহত এক অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করি। হাসপাতালে পাঠালে তার ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম অজ্ঞাত লাশ হিসেবে দাফন করে।
তিনি আরও বলেন, অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে আমরা আইনি সব পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। শনিবার আমাদের টিম সীতাকুণ্ডে গিয়ে ছবি দেখালে তার আপন ভাই রুবেল ছবি দেখে মিনুকে শনাক্ত করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, ঘটনার রাতে টহল পুলিশ মিনুকে দুই বার সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। রাস্তায় তিনি লাফিয়ে লাফিয়ে মাতম করছিলেন।
এর আগে গত ১৬ জুন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি হয়ে তিন বছরেরও অধিক সময় কারাভোগ শেষে মিনু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টকর্মী কোহিনূর আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভীন আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন গার্মেন্টকর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এরপর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।
মামলায় পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে পারভিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দিলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। এর মধ্যে এক বছর তিন মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান কুলসুম।
মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ওই হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই সাজার পরোয়ানামূলে ২০১৮ সালের ১২ জুন কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি হয়ে মিনু কারাগারে যান।