avertisements 2

টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের মেয়রের বাড়িতেও হাঁটুপানি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ আগস্ট,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৩১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম শহরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কখনো থেমে থেমে আবার কখনো কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে নগরীর রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি নগরীর বাসা-বাড়িতেও ঢুকে পড়েছে পানি। ফলে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরীর বাসিন্দাদের।

টানা বৃষ্টিতে এমন দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পায়নি চট্টগ্রাম মহানগরীর খোদ নগরপিতা রেজাউল করিমের বাড়িও। তার বাড়িতে এখনো থৈ থৈ করছে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি। এ ছাড়া নগরীর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল না থাকায় পানি সরতে না পারছে না। অনেক ঘর ও দোকানপাটের ভেতর পানি ঢুকে গেছে।

এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ সুমন সাহা জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে।

সকাল ৯টা ১ মিনিট থেকে জোয়ার শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সাথে জোয়ারের পানি যোগ হয়ে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ভাটা শুরু হবে দুপুর আড়াইটা থেকে। তখন শহরের পানি কমবে। তিনি জানান, নিম্নচাপের কারণে এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টি আরও দুই-এক দিন হতে পারে। যেসব এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে সেসব এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে আরো কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বেশ কিছু এলাকার সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মেয়র রেজাউল করিমের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মোস্তফা জামাল চৌধুরী বলেন, এর আগেও মেয়রের বাড়ির উঠান ও সামনের রাস্তায় পানি উঠেছিল। তবে এই বছর আজ প্রথম পানি উঠল।

এদিকে, পানি ঢুকেছে চাকতাই-খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন পণ্যের গুদামে। পাশাপাশি নগরীর বাকলিয়া মিয়াখান নগর, মাস্টারপোল, চকবাজার, ষোলশহর, হালিশহর, বহদ্দারহাট, কমার্স কলেজ সংলগ্ন এলাকা, ছোট পোল, বড় পোলসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামে চার দিন ধরে কখনো থেমে থেমে আবার কখনো ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নগরীর বাকলিয়া এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সালামত উল্লাহ জানান, খাল ভরাটের কারণে এ এলাকার বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না। ফলে রাত থেকে পুরো এলাকা ডুবে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে নগরীর আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক এলাকা, শান্তিবাগ আবাসিক, চান্দগাঁও, রিয়াজ উদ্দিন বাজারসহ নগরীর নিচু এলাকার সড়কগুলোতে হাঁটুপানি উঠেছে জোয়ারের সময়। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে মেহেদীবাগ, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, ছোটপুল-বড়পুল, গোসাইলডাঙ্গা ও হালিশহরের বিভিন্ন এলাকায়।

নগরীর বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা হাজী ইয়াকুব জানান, টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বহদ্দারহাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বহদ্দারহাট এলাকায় চসিক মেয়রের বাসভবন। সেখানেও পানি ঢুকেছে। বাড়ির সামনের সড়কে কোমর সমান পানি জমেছে।

এ ছাড়াও বহদ্দারহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড সড়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবেছে। এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বহদ্দারহাট মূল সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফ্লাইওভারের নিচে পানি থাকায় ফ্লাইওভারগুলোতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, বৃষ্টিতে চাকতাই-খাতুনগঞ্জে বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। তবে এতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এ বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2