ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি অস্ট্রেলিয়া শাখার জরুরী সভায়
পূজামণ্ডপে হামলার উস্কানিদাতা ও হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:১২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র শারদীয় দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের কুমিল্লায় হনুমানের পায়ে পবিত্র কোরান রেখে ষড়যন্ত্র এবং তার ধারাবাহিকতায় সারাদেশে পূজামণ্ডপে সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে এবং উস্কানিদাতা ও হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি অস্ট্রেলিয়া শাখা এক জরুরী সভার আয়োজন করে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি অস্ট্রেলিয়া শাখা এক জরুরী সভার আয়োজন করে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল তালুকদারের পরিচালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডাঃ একরাম চৌধুরী।
সভায় বক্তারা সারা বাংলাদেশে পূজামণ্ডপে হামলা ও ভাংচুরের তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, এই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে ৩০ লক্ষ বাঙালী বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেননি। আধা সামরিক বাহিনী নামিয়ে এই বছর বাংলাদেশে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হয়েছে, এতেই বুঝা যায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ধর্ম নিরপেক্ষতা থেকে কতটুকু পিছিয়ে এসেছে। কুমিল্লায় সংখ্যাগরিষ্ঠদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থকে অবমাননা করা সংখ্যালঘুদের ষড়যন্ত্র ছিল না, তাও আবার তাদের ধর্মীয় উৎসবের সময়। এই ষড়যন্ত্র যারা করেছে, তারা পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবকে বানচাল করার অপচেষ্টা করিনি বরং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের মুখে কালিমা লেপনের অপচেষ্টা করেছে। যারা শাপলা চত্বরে কোরান শরিফ পুড়িয়েছিল, তারাই হনুমানের পায়ের নিচে কোরান শরিফ রেখে নিজেদের ধর্মকে অবমাননা করেছে, তারাই আবার হিন্দুদের পূজামণ্ডপে হামাল করেছে এবং তারাই চাঁদে তাদের ধর্মীয় গুরুকে দেখতে পায়। কুমিল্লায় মৌলবাদী শিবির কর্মীদের গ্রেফতারের মাধ্যমেই বুঝা যায়, কারা হনুমানের পায়ের নিচে পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ রেখেছিল।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ যখন সমুজ্জ্বল, তখনই এই ধর্মান্ধ মৌলবাদী স্বাধীনতা বিরোধী জামায়েত- বিনপি চক্র বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। যে বাংলাদেশে যুগ যুগ ধরে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে সহবাস করে আসছে, সেই বাংলাদেশে গত দশ পনের বছর ধরে বারবার সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র ও হামলা হয়ে আসছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল থেকে প্রতিটি ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করা হয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সাজ্জাদ সিদ্দিকী, আশফাক রহমান এবং তানভীর কেনেডি বক্তব্য রাখেন।