অষ্ট্রেলিয়ার পার্থে বুয়েটিয়ানদের মিলনমেলা
মোশারফ হোসেন নির্জন
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩২ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
প্রবাসে নিজেদের এক মঞ্চে দাড় করালেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বুয়েট) সাবেক শিক্ষার্থীরা। ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করা সংগঠনটি বুয়েটা-ওয়া নামে আয়োজন করেন বার্ষিক পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান। তেসরা অক্টোবর, রবিবার, অস্ট্রেলিয়ার পার্থের মিলস পার্ক সেন্টারে আয়োজিত হয় এ মিলন মেলা। অংশ নেন বুয়েটিয়ানসহ প্রায় তিন শতাধিক অতিথি ।
সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত ধারাবাহিক ভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই পূর্নমিলনী অনুষ্ঠানের আবেদন ধরে রাখার চেষ্টা করেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠানে নতুন সদ্যসদের পরিচিতি , ক্যাম্পাসের স্মৃতিচারণ, গালা ডিনার,
কেক কাটা, দলীয় ছবি, ফান-গেম ও সংগীতানুষ্ঠান রাখা হয়। সাবেক বুয়েটিয়ানদের মাধ্যে অনেকে গান করার সুযোগটি লুফে নেন। শিল্পীরা দেশীয় ও আধুনিক ব্যান্ড গানের মূর্চ্ছনায় মাতিয়ে তুলেন সবাইকে।
আয়োজিত স্থলে ছবি তোলার জন্য বুয়েটিয়ান ফটো ফ্রেম রাখা হয়। অন্যদিকে বুয়েটিয়ান বাবা-মায়ের ছোট সোনামনিদের অংকিত ছবির প্রর্দশনী করা হয় । আরো রাখা হয় ্আলামনাইদের বিভিন্ন কর্মসূচি ও বুয়েটের স্মৃতি বিজড়িত ভার্চুয়াল ছবির প্রর্দশনী।
ভদ্রলোকের পোশাকে পুরুষ ও দেশীয় শাড়ী পরে আসেন বেশীরভাগ নারীরা। অংশ নেয়া এক অতিথি বলেন, আমার হাসবেন্ড বুয়েটের ছাত্র ছিলো। সেই সুবাদে এখানে আসা। ভীষন ভালো লাগছে। অনেক বাংলাদেশীদের সাথে পরিচিত হতে পরছি। বিপদে আপদে এক ক্যাম্পাসের মানুষদের পাশে পাওয়া যাবে, এটা সবার জন্য কল্যানকর।
বুয়েট অ্যালামনাই ওয়েষ্টার্ন অস্ট্রেলিয়া নামের এ সংগঠনটি নিজেদের ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে সক্রিয় রাখছেন সদস্যদের।
গতানুগতিক সাংগঠনিক চ্যালেঞ্জগুলোকে ছাপিয়ে একটি কাযর্করী প্লাটর্ফম দাড় করাতে মরিয়া হয়ে সংগঠনটি কাজ করছে, জানান আয়োজকরা।
সংগঠনটির সভাপতি ড. মো: জায়েদুর রহমান বলেন আমরা অবশ্যই বুয়েটিয়ানদের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করতে চাই। নতুন গ্রাজুয়েটদের জন্য একটি ভরসার জায়গা তৈরি করতে চাই। সেই লক্ষে আমাদের সদস্যদের নিয়ে এই প্লাটফর্মটিকে পুরো অস্ট্রেলিয়া জুড়ে বর্ধিত করতে আমরা কাজ করবো। যাতে বাংলাদেশ থেকে নতুনরা এসে একটি গাইড লাইন হিসেবে আমাদের এই অ্যালামনাইকে কাছে পায় ।
পূর্ণমিলনীর নেপথ্যে স্বেচ্ছাসেবীসহ পনের জনের একটি দল কাজ করেছেন। নের্তৃত্বে ছিলেন ড. মো: জায়েদুর রহমান, মোশারফ ভুইয়া, সাইফুল ইসলাম ও কাজী জিয়াউল ইসলাম।