বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকীতে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনির আলোচনা সভা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ আগস্ট,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০৯:৫৩ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনি, অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে সিডনিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনি, অস্ট্রেলিয়ার নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে বিকাল ৩টায় ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির প্যারামাত্তা ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
পরে সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনি, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি গাউসুল আলম শাহাজাদার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদের সঞ্চালনায় ল্যাকেম্বার ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাত্রে বিপদগামী সৈনিকদের নির্মম বুলেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন তার প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বাংলাদেশআওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য এক ভয়াল দিন, এই দিনটিতে যে ট্র্যাজেডি ঘটে গেছে, তা কখনও ভুলবার নয়। ঘাতকেরা চেয়েছিল জাতির পিতাকে হত্যা করে তাঁকে নিঃচিহ্ন করে দিবে। কিন্তু আজ জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু বেশি শক্তিশালী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি রতন কুন্ডু বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারার একটি রাষ্ট্র বানাবে।
কিন্তু তাদের সে ঘৃণ্য চক্রান্ত আজ ব্যর্থ হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কাছে। অনুষ্ঠানের আরেক বিশেষ অতিথি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সিডনির সভাপতি ড. মাসুদুল হক বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে ঘাতকরা যেমন অন্যায় করেছিল এবং যারা সেই ঘাতকদের বিচার বাধাগ্রস্থ করতে ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল তারাও ঠিক তেমনি অপরাধী। ইতিহাস তাদের কখনোই ক্ষমা করবে না। অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনি, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি গাউসুল আলম শাহাজাদা বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, কতটা ঘৃণ্য মানসিকতার মানুষ হলে জাতির পিতাকে অসম্মান করার জন্য বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টে একটি ভূয়া জন্মদিন পালন করে।
এ জন্য খালেদা জিয়া ও বিএনপির জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া উচিত। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনি, অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদ বলেন, যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না। সে নেতাকে হত্যা করা কতটা জঘন্যতম অপরাধ হতে পারে তা যেকোনো বিবেকবান মানুষ মাত্রই বুঝতে পারে। অথচ জিয়াউর রহমান ও বিএনপি জাতির পিতার হত্যার বিচারকে রহিত করার চেষ্টা করেছে। তাই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পাশাপাশি জিয়া ও বিএনপিকেও ইতিহাস ক্ষমা করবে না।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার খুনিদের বিচারের মাধ্যমে জাতি কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে, আশা করি পলাতক ও বাকি খুনিদের ফাঁসি কার্যকর হবে খুব শীঘ্রই। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অাওয়ামী লীগ সিডনি, অস্ট্রেলিয়ার সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন লাল্টু বলেন, ১৫ আগস্টের প্রতিটি মৃত্যুই হৃদয়বিদারক কিন্তু শিশু শেখ রাসেল হত্যা মানব সভ্যতার ইতিহাসে বর্বরতম ঘটনা। যে ঘটনাটি মনে পড়লে চোখের জল ধরে রাখা যায় না। যে নরপিশাচরা এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে জাহান্নামেও তাদের ঠাঁই হবে না।
আলোচানায় প্রায় সকল বক্তা জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিদের প্রতি নিন্দা ও ধিক্কার জানায় এবং অবিশিষ্ট খুনিদের বিচার দ্রুত কার্যকর করার আহবান জানান। আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ এইচএম লাবু, ত্রাণ সম্পাদক আবুল বাশার রিপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনির সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও নির্মল কস্ট্রা,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান ও জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন ও রিপন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সালাম, সদস্য মেহেদী হাসান, রানা শরীফ, নাজমুল হক, মোহাম্মদ আল হুদা ও শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি জাকারিয়া আল স্বপন প্রমুখ।
এছাড়া আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান কচি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনির সহ-সভাপতি শফিকুর চৌধুরী ও শাহজাহান মিল্টন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান ও রেজাউল করিম, বাংলাদেশ অাওয়ামী লীগ সিডনির সদস্য ম্যান্থন সফিয়ান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক মিকু চৌধুরীসহ প্রমুখ। আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এছাড়া উপস্থিত নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্য কামনা করে নিরন্তর তাঁর পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি