ভিক্টোরিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ অক্টোবর,
বুধবার,২০১৯ | আপডেট: ০৬:৫৪ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
গত ১৯ অক্টোবর শনিবার এক উৎসবমুখর ও আন্দঘন পরিবেশে টার্নেট রাইজ প্রাইমারি স্কুলের হলরুমে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রবাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীদেরসংগঠন ডিউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রাক্তন শিক্ষার্থীর উদ্যোগে গতবছর ১৪ জুলাই আয়োজন করা হয়েছিল এর প্রথম পুনর্মিলনী।
তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আয়োজন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার ও মাইকের দায়িত্বে ছিলেন দর্শনের প্রাক্তন ছাত্রী নাদিরা সুলতানা নদী ও ইতিহাসের প্রাক্তন ছাত্রী রওনক রাব্বানী সুবর্ণা। এবারের আয়োজনে অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল গতবারের চেয়েও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এবারের উৎসবের থিম বা বিষয় ছিল ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যাম্পাস জীবন ও আড্ডা।
তাই টিএসসি’রআদলেই সাজানো হয় মঞ্চ এবং হলরুম। এবারের পুনর্মিলনীর দুটি আকর্ষণীয় দিক ছিল, ‘কি নোট স্পিকার’ অধ্যাপক ড: সলিমুল্লাহখান’র বক্তব্য এবং ডিউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদেরঅংশগ্রহণে তাদের প্রথম প্রকাশনা “ক্ষণিকা “। সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়কারী এবং সভাপতি ব্যারিস্টার নুরুল ইসলাম খান এর স্বাগত ভাষণের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ অধ্যাপক ড: সলিমুল্লাহ খানকে মঞ্চে ডাকা হয়।
ডিউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার পক্ষ থেকে তাকে ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করা হয়। অধ্যাপক ড: সলিমুল্লাহ খানকে ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন এই অনুষ্ঠানের ডায়মন্ড স্পনসর পিএনএস গ্রাফিক্স’এর কর্ণধার কামরুল হাসান চৌধুরী। অধ্যাপক ড: সলিমুল্লাহ খানকে অনুরোধ করা হয় তার বক্তব্য রাখতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই অত্যন্ত আগ্রহের এবংমনোযোগের সঙ্গে উপভোগ করেন ড: সলিমুল্লাহ খানের বক্তব্য। সন্ধ্যা ৮টার সময় মাগরিবের নামাজের ১০ মিনিট বিরতির পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব।
রাত নয়টায় পরিবেশন করা হয় নৈশভোজ। এরপরই শুরুহয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়পর্ব। গান, কবিতা আবৃত্তি, কুইজ আর রাফলে ড্র ছিল এই সাংস্কৃতিক পর্বের মূল আকর্ষণ। সকল প্রাক্তন ঢাবিয়ানদের পদচারণায় আর প্রাণবন্ত আবেগী উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের হলরুমটি যেন হয়ে উঠেছিল একটি জীবন্ত টিএসসি বা মধুর ক্যান্টিন বা কার্জনহল। সবাই ছিল স্মৃতি রোমন্থরে আবেগী এক সময়ে, বহুদিন পর যেন সবাই ফিরে পেয়েছিলো আবার সেই বিশ্ববিদালয়ের দিনগুলি।
সবশেষে অর্থনীতির প্রাক্তন ছাত্রী এবং প্রকাশনা ‘ক্ষণিকা’ র সম্পাদক জীনাতুর রেজা খানের বিদায়ী বক্তব্য ও সকলের সমবেত কণ্ঠই রবি ঠাকুরের “পুরানা সেই দিনের কথা ” র মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এই মিলনমেলার। আয়োজক কমিটি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন, পি এন এস গ্রাফিক্স, এস আর লইয়ার্স এন্ড মাইগ্রেশন সার্ভিসেস, ওয়াসিস একাউন্টিং, এনলাইটেন ফিনান্স, ম্যানওর লেকস চারকোল চিকেন, এন কে পি ব্রোকার, ফ্রেশ বাজার এন্ড হালাল মিট, আজওনামোটর্স। মিডিয়া পার্টনার: বাংলাদেশী ব্রডশীট এবং ডিউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার কার্যকরী কমিটি, সকল সদস্য, সকল স্বেচ্ছাসেবী, এবংঅংশগ্রহণকারী সকল প্রাক্তন ঢাবিয়ান।-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি