avertisements 2

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০৪:০০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

আজ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০। শনিবার রাত আটটায় সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জুমেরমাধ্যমে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. খায়রুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে টেলিফোনেরমাধ্যমে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি। সভায়বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বানিজ্য মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি এমপি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওবাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেনসর্বজনাব নাসিম সামাদ, এমদাদ হক, শফিকুল আলম, দক্ষিণ আফ্রিকা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. লুৎফর রহমান রূপন, সুইডেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফরহাদ আলী খান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদককামরুল আহসান খান, ফয়সাল মতিন, অনুপ কুমার মণ্ডল, শেখ মশিউর রহমান হৃদয়, ডেভিড বালা, মোহাম্মদ মুনির হোসেন, আইভি রহমান, ওসমান গনি, অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান শামীম, আলী আশরাফ হিমেল, প্রমুখ। 

সভার শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও পচাত্তরের পনেরোইআগস্টে নিহত তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং নির্যাতিতা- আত্মদানকারীচারলক্ষ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ওধন্যবাদ জানানো হয়। সভায় দেশে-বিদেশে বসবাসকারী সকল বাঙালিকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানো হয়। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, কেবলমাত্র একটি ভূখণ্ড এবং পতাকার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করি নি। ভৌগলিক স্বাধীনতার পাশাপাশি বাংলার মানুষেরঅর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। অনেক মূল্য দিয়ে এইস্বাধীনতাকে পেয়েছি। যুগ যুগ ধরে ধর্মের অপব্যাখ্যা করে একটি গোষ্ঠী বাঙালির অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চেয়েছে। তাদেরঅপতৎপরতার তীব্র নিন্দা করে তিনি এই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেবার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যামাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক-অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে দেশ এখনঅনেক এগিয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করতেহবে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বানিজ্য মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি এমপি বলেন, এবারে মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরপূর্তির প্রাক্কালে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে বিজয় দিবস এসেছে। এই সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্যে আঘাত হেনে ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠীস্বাধীনতার চেতনার উপরেই আঘাত হেনেছে। তারা কুষ্টিয়ায় বাঘা যতীনের ভাস্কর্য্য ভাঙচুর করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনারনেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকেই এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, এই বিজয়ের মাসেই তার বড় ভাইকে পাক হানাদার বাহিনীরা ধরেনিয়ে গিয়ে হত্যা করে। ভাইয়ের লাশটিও পরে তারা আর খুঁজে পান নি। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশপ্রত্যাবর্তনের দিনে প্রদত্ত বক্তৃতার উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েযেতে পারেন নি। জাতির পিতার সেই অসমাপ্ত কাজটিই দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা। 

অন্যান্য বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্নই দেখান না, তিনি যা বলেন তা বাস্তবেকরেও দেখান। এ কারণেই বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজ এক উন্নয়ন বিস্ময়ের নাম। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজমধ্যম আয়ের দেশ। বক্তারা আরো বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্য ভাঙ্গার দু:সাহস দেখান, তাদের জন্য মহৌষধ হলো অবিলম্বেরাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা। তালিকা প্রকাশ পেলে এইসব পাকি প্রেতাত্মাদের স্বরূপ প্রকাশিত হয়ে যাবে। বক্তারা দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৌলবাদীদের অপতৎপরতা চালানোর পেছনে ফেসবুকের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, তারা কম্যুনিটি স্ট্যান্ডার্ডের ধূয়ো তুলে প্রায়শই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও ব্যক্তির প্রগতিশীল কর্মতৎপরতাকে ব্যাহত করছে। এ ব্যাপারে ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে কর্মরত জামাত-শিবিরের এজেন্টদের চিহ্নিত করে বাংলাদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান। 

আলোচনা সভার শেষে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়, এবং সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। - সংবাদ বিজ্ঞপ্তি 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2