অস্ট্রেলিয়ার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ নভেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০৪ এএম, ১৩ মে,মঙ্গলবার,২০২৫

প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্যের জরুরি সেবাগুলো সিডনির পশ্চিমে ভয়াবহ বন্যায় আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়েছে। সেখানে শত শত মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং সরে যাবার আদেশ জারি করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েক সপ্তাহের রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। সিডনি থেকে ৪০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত নিউ সাউথ ওয়েলসের শহর ফোর্বস, দু’সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বন্যার জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হয়। নিকটবর্তী লাচলান নদীর পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হয়। মঙ্গলবার বাসিন্দাদের জরুরি সরে যাবার আদেশ জারি করা হয়।
সিডনি থেকে ৩০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত কাউরায়, রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর। ১১৮ বছরের মধ্যে এটিই শহরটির সর্বোচ্চ দৈনিক বৃষ্টিপাত ।
একাধিক জরুরি সতর্ক বার্তা জারি করা হয় ।
নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজ্য প্রিমিয়ার ডমিনিক পেরোটেট মঙ্গলবার সিডনিতে সাংবাদিকদের বলেন, সঙ্কট এখনো শেষ হয়নি। সামনে অনেক কঠিন দিন রয়েছে।
অস্ট্রেলীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী, এডিএফ-এর সৈন্যদের সাহায্যের জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রথমবারের মতো নিউ সাউথ ওয়েলসের কর্তৃপক্ষ বন্যা দুর্যোগে আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়েছে। দেশটির জরুরি সেবা কমিশনার কার্লিন ইয়র্ক মঙ্গলবার সিডনিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নিউজিল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞদের প্রথম দল এসে পৌঁছেছে।
তীব্র আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় ২৪টি স্কুল বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঝড়ের সময় চার লাখেরও বেশি বজ্রপাতের ফলে হাজার হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে বলে বিজ্ঞানীরা জানান। আগামী কয়েকদিন নিউ সাউথ ওয়েলসে আরো ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন: অস্ট্রেলিয়ার সিনেটরদ্বয়

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের নতুন হাই কমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ

লাকেম্বা মসজিদে অনলাইন হুমকি নিয়ে তদন্ত চলছে

সিডনীতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
