এবার ৩ দিনব্যাপী ঈদের জামাত !
অস্ট্রেলিয়ায় ঈদের তারিখ নিয়ে মতবিরোধ তুঙ্গে, সিদ্বান্তহীনতায় অনেকে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৩৫ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
অস্ট্রেলিয়ায় সাধারনত দুই দিনে ঈদ উদযাপন করা হয়। একদল ঈদের তারিখ ঠিক করে খালি চোখে চাঁদ দেখার রীতির ওপর নির্ভর করে। আরেকদল ঈদ করবেন জ্যোতির্বিদ্যা হিসাব অনুসারে। কিন্তু এবার জ্যোতির্বিদ্যা হিসাব নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল ও অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেশন ওব ইসলামিক কাউন্সিলের মতবিরোধ তুঙ্গে। অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল ২২ এপ্রিল শনিবার ঈদ উল ফিতর তারিখ ঘোষনা করেছে অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেশন ওব ইসলামিক কাউন্সিল ঘোষনা দিয়েছে একদিন আগে ২১ এপ্রিল শুক্রবার। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার মুন সাইটিং জানিয়েছে খালি চোখে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ২২ এপ্রিল শনিবার অথবা ২৩ এপ্রিল রবিবার ঈদ উল ফিতর উদযাপিত হবে।
ফলে অস্ট্রেলিয়ায় এবার ৩ দিনব্যাপী ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সিদ্বান্তহীনতায় রয়েছেন অনেকে । এদিকে ঈদের তারিখ নিয়ে ভিন্ন নীতির কারণে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন অভিব্যক্তি।
মুসলিম দেশগুলোতে সাধারণত ঈদের তারিখ সরকার, সংশ্লিষ্ট সংস্থা দ্বারা নির্ধারিত হয়।অমুসলিম দেশগুলোতে এ সিদ্ধান্ত পৃথক পৃথক মসজিদ দ্বারা গৃহীত হয়। মুসলমানরা খালি চোখে চাঁদ দেখে অথবা ‘জ্যোতির্বিদ্যা হিসাব’ ব্যবহার করেন এবং একটি নতুন চাঁদের সঙ্গে নতুন মাস নির্ধারণের সম্পর্ক রয়েছে।
উপমহাদেশের অনেক আলেম বিশ্বাস করেন, নতুন চাঁদ জন্মের সঙ্গে নতুন মাস শুরু হয় না। বরং যখন খোলা চোখে ‘ক্রিসেন্ট’ বা একটি অর্ধচন্দ্র দেখা যায় তখনই একটি নতুন মাসের জন্ম হয়। যে রাতে চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার আশা করা হচ্ছে, আবহাওয়া কমিটি এবং সাধারণ মানুষ আকাশের দিকে সে সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। এখানেই জ্যোতির্বিদ্যা হিসাব নিয়ে বিরোধিতা।
এ বিষয়ে মুসলিম আলেমদের বড় দুটি সংগঠন ‘দ্য ফিকাহ কাউন্সিল অফ নর্থ আমেরিকা’ এবং ‘ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ফর ফতোয়া অ্যান্ড রিসার্চ’র বক্তব্য- এক্ষেত্রে জ্যোতির্বিদ্যা হল গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি, যার দ্বারা তারিখগুলো অগ্রিম অনেক আগে থেকেই জানা যাবে। অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল এই মত গ্রহন করে থাকে।