দেশে কমে গেছে ডিজেল, পেট্রল, অকটেনের বিক্রি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১২ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
অকটেন ও পেট্রলের বিক্রি বেশ কমে গেছে। বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ভোক্তাদের কেউ কেউ সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বা অটোগ্যাসের ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে বলে পেট্রল ও অকটেনের বিক্রি কমছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। দেশে জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় কমেছে বিক্রি।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য মতে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার আগে গত জুলাই মাসে গড়ে দৈনিক অকটেন বিক্রি হতো এক হাজার ৩০৯ মেট্রিক টন।
গত ৫ আগস্ট তেলের দাম বাড়ার পর থেকে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১৮৫ মেট্রিক টন। এ ছাড়া পেট্রল দৈনিক গড়ে বিক্রি হয়েছিল এক হাজার ৩০০ মেট্রিক টন, দাম বাড়ার পর গড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ মেট্রিক টন। একই সঙ্গে কমেছে ডিজেলের বিক্রিও। গত জুলাই মাসে গড়ে দৈনিক ডিজেল বিক্রি হয়েছিল ১৩ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। দাম বাড়ার পর থেকে গড়ে দৈনিক ডিজেল বিক্রি হয় ১৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন।
মোহাম্মদপুরের রাজুাহমেদ বলেন, ‘বাস, ট্রাক ও মোটরসাইকেল ছাড়া প্রায় ৯০ শতাংশ গাড়িতেই জ্বালানি তেলের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে সিএনজি ও এলপিজি কনভারসন (রূপান্তর) করা আছে। নতুন করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় অনেকেই এখন সিএনজি ও এলপিজি ব্যবহার করতে শুরু করেছে, যার কারণে পেট্রল ও অকটেনের বিক্রি কিছু কমছে।
সিএনজি ও এলপিজি খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অকটেনের তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে গাড়ির মালিকদের ঝোঁক এখন সিএনজি ও এলপিজিতে। যেখানে এখন এক লিটার অকটেনের দাম ১৩৫ টাকা, সেখানে প্রতি ঘনমিটার সিএনজি ৪৩ টাকা এবং প্রতি ঘনমিটার এলপিজি ৫৬ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তাই এখন গাড়িতে সিএনজি ও এলপিজি সিলিন্ডার কনভারসনের প্রবণতাও আগের চেয়ে বেড়েছে। সিএনজি ও এলপিজি ব্যবহার করা একটি গাড়ির সমান দূরত্ব অতিক্রম করতে ডিজেল, অকটেন ও পেট্রলচালিত গাড়ির খরচ পড়বে প্রায় দ্বিগুণ।
রাজধানীর মিরপুর কালশী এলাকায় সুমাত্রা ফিলিং স্টেশনে ডিজেল ও অকটেনের পাশাপাশি এলপিজি বা অটোগ্যাসও বিক্রি করা হয়। জানতে চাইলে ম্যানেজার আমির মোহাম্মদ বলেন, ‘দাম বাড়ার পর থেকে অকটেন ও ডিজেল বিক্রি আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে সিএনজি ও এলপিজির ব্যবহার কিছুটা বাড়ছে, যা আগামী দিনে হয়তো আরো বাড়বে।
বিপিসির পরিচালক (বিপণন) অনুপম বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের হিসাব বলছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার আগের তুলনায় দাম বাড়ার পর সব ধরনের জ্বালানি তেলের দৈনিক বিক্রি কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নুর বলেন, ‘সিএনজির ব্যবহার এখন কিছু বেড়েছে। তেলের দাম বাড়ার আগে ডুয়াল-ফুয়েলের গাড়িগুলো জ্বালানি হিসেবে ৬০ শতাংশ গ্যাস ব্যবহার করত। কিন্তু এখন তারা গাড়িতে প্রায় ৭৫ শতাংশ গ্যাস ব্যবহার করছে। বাকি জ্বালানির জন্য তাদের জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। দেশের সব জায়গায় গ্যাস সহজলভ্য না হওয়ায় এভাবে চলতে হচ্ছে তাদের।