avertisements 2

বাজারে থাকা যেসব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ মে, বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:২৭ এএম, ২৫ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

ছবি: সংগৃহীত

বাজারে থাকা এসএমসি প্লাস ও ‘রিচার্জের’ সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। রোববার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এসব ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানির পর এমন আদেশ দেন আদালত।

গত ১৪ মে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা করেন। এগুলো হলো- এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ ও টারবো।

পরে সেদিনই বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন এসব কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। সেই সঙ্গে কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দেবেন।


রোববার এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের পাশাপাশি বাজারজাতকারী কোম্পানি একমির কর্ণধার তানভীর সিনহাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন নিরাপদ বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। এ ছাড়া ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ বাজার থেকে প্রত্যাহারের পাশাপাশি মালিক গোলাম মোস্তফাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিন সকালে দোষ স্বীকার করে জামিন চান এসএমসি প্লাস বাজারজাতকারী কোম্পানি একমির কর্ণধার তানভীর সিনহা। পরে তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এ সময় তানভীর সিনহা বলেন, এতে তাদের দোষ নেই। কারণ, তারা জানতেন না এটার লাইসেন্স নেই।

এর আগে গত ১৬ মে অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রির কথা স্বীকার করায় এসএমসি প্লাসের আরেক কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামের জামিন মঞ্জুর করে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।


বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন আদালতকে জানিয়েছেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারে না এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2