avertisements 2

অ্যান্টার্কটিকায় ৩ দেশের যৌথ মিশনে অস্ট্রেলিয়ার অভিযাত্রী উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৩৬ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৩:১৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২৪

Text

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার এক অসুস্থ অভিযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী এই মিশনে ব্যবহার করা হয় জাহাজ, হেলিকপ্টার ও বিমান। অস্ট্রেলিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে এ মিশনে অংশগ্রহণ করে। খবর বিবিসির।

অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্টার্কটিক ডিভিশন (আড) এই ঘটনাকে ‘অসাধারণ সাফল্য’ বলে উল্লেখ করেছে। এই অপারেশনকে ‘জটিল ও চ্যালেঞ্জিং’ বলে বর্ণনা করে তারা। উদ্ধার হওয়া অভিযাত্রীর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।


কর্মকর্তারা বলছেন, এটি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অসুস্থতা নয়। উদ্ধার অভিযান যখন শুরু হয় তখন ওই অভিযাত্রী দক্ষিণ অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার ড্যাভিস গবেষণা স্টেশনে ছিলেন।

আডের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিশনের সময় ‘সৌভাগ্যবশত’ একটি চীনা বরফভাঙা জাহাজ সেখান থেকে পার হয়ে যাচ্ছিল। ড্যাভিস স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি দ্বীপে একটি অস্ট্রেলীয় টিমকে পাঠানোর জন্য সেই জাহাজ তাদের হেলিকপ্টার প্রেরণ করে। ওই টিমের কাজ ছিল একটি মার্কিন বিমানের জন্য স্কি-ওয়ে তৈরি করা যাতে সেই অসুস্থ অভিযাত্রীকে উদ্ধার করা যায়।

এরই মধ্যে একজন ডাক্তার নিয়ে আসার জন্য মার্কিন ব্যাসলার বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকমুর্ডো গবেষণা স্টেশন থেকে ২ হাজার ২শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উইলকিন্স অ্যারোড্রোমে পৌঁছায়।

এরপর বিমানটি ড্যাভিস গবেষণা কেন্দ্রের কাছে সেই স্কি-ওয়েতে পৌঁছায়। সেখানে অভিযাত্রীকে নিয়ে এটি উইলকিন্স অ্যারোড্রোমে ফেরত আসে। একটি অস্ট্রেলীয় বিমান- এ৩১৯ সেই অভিযাত্রীকে বহন করে বড়দিনের উৎসবের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হোবার্ট শহরে নিয়ে আসে।


আড জানায়, একাধিক দেশের সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল। কারণ, অ্যান্টার্কটিকায় বর্তমানে আন্তমহাদেশীয় স্কি-সরঞ্জামযুক্ত ছোট বিমান অস্ট্রেলিয়ার নেই। আডের পরিচালক কিম এলিস বলেন, ‘আমাদের অপারেশনে সহযোগিতা করতে অ্যান্টার্কটিকা আসলেই জাতিগুলোকে একত্র করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ ধরণের উদ্ধার অভিযান অনেক দিন থেকেই করে আসছি। কিন্তু এই অপারেশনটি ছিল বিভিন্ন জাতির সমন্বিত সহযোগিতার অসামান্য এক উদাহরণ।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2