avertisements 2

গাজায় মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জীবিত উদ্ধার শিশুটির মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ এপ্রিল,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:১০ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে রক্ষা পাওয়া এক শিশু হাসপাতালে ইনকিউবেটরে শুয়ে আছে। ছবিটি ২১ এপ্রিল তোলা। ছবি : রয়টার্স

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার শিকার এক গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। তবে তাঁর গর্ভ থেকে জন্ম নেয় একটি শিশুকন্যা। এবার পৃথিবীতে আসার মাত্র কয়েক দিন পর সেই শিশুটিও মারা গেল। শিশুটির যত্ন নেওয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে রয়টার্স শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। শিশুটির নাম রাখা হয়েছিল রুহ, যার অর্থ আত্মা।

রয়টার্স বলেছে, গত শনিবার রাতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণতম শহর রাফাহতে ইসরায়েলি হামলা হয়। এতে সাবরিন আল-সাকানি গুরুতর আহত হন। নিহত হন তাঁর স্বামী শুকরি ও তাঁদের তিন বছরের মেয়ে মালাক।
সাবরিন ৩০ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন। তাঁকে রাফাহর আমিরাতি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হলেও চিকিৎসকরা গর্ভের শিশুটিকে বাঁচাতে সক্ষম হয়। সিজারিয়ান অপারেশন করে শিশুটির ডেলিভারি হয়।

আমিরাতি হাসপাতালের জরুরি নিও-নেটাল ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক মোহাম্মদ সালামা শিশু রুহের যত্ন নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, শিশুটির শ্বাসকষ্টের সমস্যা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল। বৃহস্পতিবার সে মারা যায়।

তিনি ফোনে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি ও অন্যান্য চিকিৎসক তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও সে মারা যায়। ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এটি একটি খুব কঠিন ও বেদনাদায়ক দিন ছিল।

সালামা জানান, শিশুটি অপরিপক্ষ শ্বাসযন্ত্র নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দুর্বল ছিল এবং এটিই তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি বলেন, ‘সে (শিশুটি) তার পরিবারের সঙ্গে শহীদ হিসেবে যোগদান করেছে।’

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েল ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে গাজায় ছয় মাস ধরে চলা যুদ্ধে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। ইসরায়েল হামাসকে নির্মূলের অভিযানে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজার অধিকাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। ভূখণ্ডের অধিকাংশ হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যেগুলো এখনো কাজ করছে, সেগুলোতে বিদ্যুৎ, ওষুধ, জীবাণুমুক্ত করার সরঞ্জাম এবং অন্যান্য সরবরাহের অভাব রয়েছে।

চিকিৎসক সালামা বলেন, ‘(শিশু রুহের) দাদী আমাকে ও চিকিৎসকদের তার যত্ন নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কারণ সে এমন একজন হতে পারত, যে পরিবারের অন্য সদস্যদের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখবে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সে মারা গেছে।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2